লক্ষ্মীপুরে ১ লাখ ১১ হাজার ৯’শ ৫৫ জন কিশোরীকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধী এইচপিভি টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলায় ১ হাজার ৬’শ ৫২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইচপিভি টিকাদান করা হবে। লক্ষ্মীপুর জেলায় ২৪ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এইচপিভি টিকাদান চলমান থাকবে। এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম উপলক্ষ্যে এক অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাজীব কুমার সরকার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেননড. নাহিদ রায়হান।
এ সময় বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীরসহ আরো অনেকে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি অফিসারসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও টিকাদান কর্মীরা।
কর্মশালায় জানানো হয়, প্রতি বছর বিশ্বে ৬ লাখ নারী জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এরমধ্যে ৩ লাখ ৪২ হাজার মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া বিশ্বে প্রতি লাখে ১১ জন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আর মারা যাচ্ছেন ৪ হাজার ৯৭১ জন। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে ইপিআই এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।
৫ম থেকে নবম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত ছাত্রী অথবা ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের জন্য এই টিকা অধিকতর কার্যকর।
এই টিকা বিশ্বব্যাপী পরীক্ষিত, নিরাপদ ও কার্যকর।
একটি ডোজই জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে যথেষ্ট বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
Leave a Reply