কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদী থেকে অপহৃত এক রোহিঙ্গা যুবক উদ্ধার,এসময় আন্তর্জাতিক মানবপাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী
পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ।
উদ্ধার ভিকটিম-উখিয়ার থাইংখালি ক্যাম্প-১৯ এ /৭ ব্লকের হোসেন আহমদের ছেলে কেফাতউল্লাহ(২৪)।
গ্রেপ্তারকৃত’রা হলেন-উখিয়ার ক্যাম্প-এক্সটেনশন বি-৪ এইচ/১ ব্লকের ফয়েজউল্লাহ এর ছেলে এনামউল্লাহ (২১),টেকনাফের নতুন পল্লান পাড়া মৃত নূর মোহাম্মদের ছেলে কলিম উল্লাহ(৩৫) ও দক্ষিণ লম্বরি সাইফুল ইসলামের ছেলে তারিকুল ইসলাম(১৯)।
বৃহস্পতিবার(২০ জুলাই) ভোরে টেকনাফের নাফনদী থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমদ জানান,গত শনিবার ৮ জুলাই উখিয়ার এফডিএমএন ক্যাম্প-১৯ হতে একটি মানব পাচারকারী চক্র রোহিঙ্গা সদস্য কেফাতউল্লাহ (২৪) এবং হামিদ হোসেন (২৫) দ্বয়কে বিভিন্ন কাজের প্রলোভন দেখিয়ে টেকনাফের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে উক্ত অপহৃত ব্যক্তিদের নৌকাযোগে মায়ানমার পাঠানো কালে হামিদ হোসেন (২৫) পালিয়ে চলে আসে। কেফাতউল্লাহ(২৪) কে মায়ানমারে নিয়ে আটক করে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ভিকটিমের পরিবারের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
উক্ত বিষয়টি এপিবিএনকে অবহিত করলে ৮ এপিবিএন পুলিশের টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেন। উক্ত মানবপাচারের বিষয়ে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত অপরাধ গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনাপূর্বক অপরাধীদের সনাক্ত করে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে মায়ানমারে পাচারকৃত ভিকটিম কেফাতউল্লাহকে বিভিন্ন কৌশলে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নাফ নদীর তীরে আনা হলে, সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান,উদ্ধারকৃত ভিকটিম, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ ও অপরাধ গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনাপূর্বক প্রাথমিক তদন্তে এই মানবপাচার চক্রটির অপরাধের কর্মকৌশল সম্পর্ক জানা গেছে।
এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অপরাধ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলমান আছে বলে তিনি জানায়।
Leave a Reply