রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিতে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।
টানা ৪৮ ঘন্টার বৃষ্টি যেন এ মৌসুমের রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি। এ বৃষ্টিতে মহেশখালী উপজেলার হোয়ানকের বড়ছড়া, কেরুনতলী, হরিয়ারছড়া, পুঁইছড়া, ধলঘাটার সুতরিয়া, মুহুরীঘোনা, সরইতলা, পন্ডিতের ডেইল, ছোটমহেশখালীর সিপাহীর পাড়া, মুদিরছড়া, উম্বনিয়া পাড়া, তেলি পাড়া, ঠাকুরতলা, মাতারবাড়ীর সাইরার ডেইল, সিকদার পাড়া, মগডেইল, কুতুবজোমের ডেম্বুনি পাড়া, ঘটিভাঙ্গা, তাজিয়া কাটা, সোনাদিয়া, পৌরসভার ঘোনাপাড়া, পুটিবিলা, চরপাড়া, কালারমারছড়ার ইউনুছখালী, ঝাপুয়া, মোহাম্মদশাহ ঘোনা, বড়মহেশখালীর পাহাড়তলী ও দেবাঙ্গপাড়া সহ একাধিক এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সরজমিনে দেখা যায় পাহাড়ি ঢলে হোয়ানকের বড়ছড়ার মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বাড়ি সহ একাধিক বাড়ি তলিয়ে গেছে। কয়েকটি গ্রামে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কয়েকশ পরিবার পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও কয়েকটি এলাকায় রাস্তা ভেঙ্গে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মহেশখালীতে অতি বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধ্বসে শতাধিক পানির বরজ নষ্ট হয়ে গেছে। বিভিন্ন সবজি খেত ও আমন চাষেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা। বৃষ্টির পানি এবং জোয়ারের পানি একাকার হয়ে কয়েকশ একর চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে কয়েক কোটি টাকার চিংড়ি মাছ পানিতে ভেসে গেছে বলে জানান চিংড়ি চাষীরা।
বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে কয়েকটি ফিশিং বোট সোনাদিয়া দ্বীপ সহ বিভিন্ন ঘাটে এসে নোঙর করলেও বেশির ভাগ ফিশিং বোট কূলে আসতে পারেনি বলে জানিয়েছেন মাঝিমাল্লার পরিবার।
এছাড়াও বৈরী আবহাওয়া ও অতি বৃষ্টির কারণে মহেশখালী উপজেলায় গত দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছে দ্বীপবাসী।
Leave a Reply