ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাণী ইসলাম ওরফে রাণী মালা ওরফে মনুর দায়ের করা সাইবার ক্রাইম ট্রাইবুনালে মিথ্য মামলা ও সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা যুব মহিলালীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন-আহবায়ক স্বপ্না খন্দকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করে তিনি। এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, রাণীর সাথে তার ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর বিভিন্ন সুপারিশে সে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে নেয়। এরপর চাকরির সুবাধে ময়মনসিংহ নগরীর ১৪ নং ওয়ার্ডের কফিক্ষেত এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন নারীদের নিয়ে দেহ ব্যবসা শুরু করে। এক পর্যায়ে বাড়ির মালিক তার কুকর্মের কথা জানতে পেরে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এ অবস্থায় সে কোন কুল-কিনারা না পেয়ে আমার বাসা ভাড়া নেয়, সেখানেও বিভিন্ন অচেনা পুরুষ নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয় এবং একদিন এলাকার মানুষ তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। গত (৭ এপ্রিল) গভীর রাতে আমাকে হুমকিমূলক মেসেজ করে, যাতে সে আমাকে প্রাণনাশের, মানহানিকর এবং বিভিন্ন ভিডিওর মাধ্যমে ফাঁসিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। তার বিভিন্ন সময়ে হুমকির কারণে নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এ সময় তিনি আরো উল্লেখ করে জানান, রাণীর যে ভিডিওটি ফাঁস হয়েছে, সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করে আমার ভাই, আমার ড্রাইভার, আমার স্বামী ও আমাকে জড়িয়ে ৪ জনের নামে মামলা করেছে কিন্তু যার সাথে তার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তার নামে সে কোন মামলা করেনি, আর এতেই বোঝা যায় যে, সেই পুরুষের সাথে রাণী নিজ সম্মতিতেই অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়েছিল। দুই বছর আগের ঘটে যাওয়া ঘটনা হঠাৎ করে কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য সে সামনে নিয়ে এসেছে এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি প্রশাসনের কাছে এই হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলার সুষ্ঠু বিচার ও রাণীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অপরদিকে স্বপ্না খন্দকারের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাণী ইসলাম বলেন, স্বপ্না খন্দকার নিজে বাঁচতে আমার বিরুদ্ধে পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ শুরু করেছে। সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন মানুষের সাথে ভিডিও কলে কথা বলাতো এবং সেগুলো সে স্ক্রিনশট দিয়ে রেখেছে। সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রায় দুই শতাধিক যুব মহিলা লীগ নেতা-কর্মী ও এলাবাসিরদের নিয়ে রাণী মালার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে  মানববন্ধন, বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসক, এসপি বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বপ্না খন্দকারের মাতা, শাশুড়ী, স্বজন ও যুব মহিলালীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।