মেহেরপুরে গেল সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। সরবরাহ কম থাকায় বাজারে দেখা দিয়েছে সবজির ঘাটতি। সপ্তাহের ব্যবধানে তিনগুণ দামে কিনতে হচ্ছে এসব সবজি। দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বলে দাবি ব্যবসায়ী সমিতির। বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহতের কথা জানালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই আনাগোনা বেড়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। তবে সস্থি নেই বাজারে। গেল সপ্তাহে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে প্রায় তিনগুন। ফলে বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনতে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। গত এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে কলা, পটল, বেগুন, বাধাকপি, সিম, কচু, লালশাকসহ বাজারে আসা অন্যান্য সবজির। গত এক সপ্তাহ আগে খোলা বাজারে কলা বিক্রি হয়েছে ৪৫ টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০থেকে ৭৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহে পটল বিক্রি হয়েছে ৩৫থেকে ৪০টাকা দরে এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫টাকায়। গত সপ্তাহে বেগুন বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০টাকায় এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়, আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। পেঁয়াজ প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ১০০- ১১৫ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি করলা এখন ১০০ টাকা, ঢেঁড়স কেজি ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা কেজি ও পেঁপে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা ৬৫ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা এবং কচুমুখি ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েম মাস ধরে ৫০০ টাকার উপরে আদার কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে। সপ্তাহিক হাটের দিনে বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছে, বেশিরভাগ পণ্যই অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম শুনে হতাশ হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
ক্রেতারা জানান, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাজার কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। ভোক্তাদের দাবি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে বাড়ছে সব পণ্যের দাম, দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন শক্ত বাজার মনিটরিং। দীর্ঘদিন ধরে পণ্যের দাম বাড়া কমার প্রতিযোগিতায় অসহায় ভোক্তরা। দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী পদক্ষেপ চাই ক্রেতারা।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজি পাচ্ছেন না তারা। বেশে দামে কিনতে হচ্ছে তাই বেশি দামে বিক্রিয় করছি।
মেহেরপুর জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর সংরক্ষেনের উপ-পরিচালক সজল আহমেদ জানান, সরকারের বেধে দেয়া মুল্যের বাইরে কেউ পন্য বিক্রি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুরু করা হচ্ছে বাজার মনিটরিং।
Leave a Reply