কক্সবাজারের দক্ষিণের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের স্টল বন্দর দীর্ঘ এক মাস পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু টাউনশিপ থেকে ৩৫০ বস্তা ফেলন ডাল নিয়ে একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে এসেছে বলে জানিয়েছেন
বন্দর কতৃপক্ষ।
পণ্যের যে ট্রলাটি টেকনাফ স্থল বন্দরে এসে পৌঁছেছে তাঁর বিস্তারিত তথ্যটি নিশ্চিত করেন, টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড ল্যান্ড পোট লিমিটেডের ম্যানেজার
সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি জানান, গেল রবিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মিয়ানমারের মংডু টাউন থেকে টেকনাফের এক স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুস শুক্কুরের কাছে ৩৫০ বস্তা ফেলন ডালের একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিতে এসে নোঙর করে।
সোমবার সকালে আইজিএম জমা দিয়ে মালাগুলো খালাস করা হচ্ছে। খালাসের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে। এর আগে গেল বছরের শেষের মাসে আরও এক হাজার ৫৬০ বস্তা ফেলন ডাল এসেছিল বন্দরে।
এসময় তিনি আরও জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের প্রভাব পড়েছে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যে। কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রফতানি। সীমান্ত এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যেও পড়েছে ভাটা।
মিয়ানমারের পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে আগের মত টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানি রফতানি বাড়বে বলে আশা করেন এই কর্মকর্তা।
টেকনাফ স্থলবন্দরের আমদানিকারক উল্লাহ বলেন, মিয়ানমারে আমাদের অনেক টাকার মালামাল আটকে আছে। আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে একদম বন্ধ। আশা করছি, দ্রুত মিয়ানমারের অবস্থা স্বাভাবিক হলে টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি রফতানি আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে আশা করছি।
সর্বশেষ মিয়ানমার থেকে ৩ ডিসেম্বর টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছিল। গত ৮ ডিসেম্বর রাখাইন রাজ্যে মংডু টাউনশিপ আরাকান আর্মির দখলের নেওয়ার পর থেকে কোনও পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফ স্থল বন্দরে আসেনি।
Leave a Reply