কক্সবাজারের উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম বাবুলকে মাদক কারবারীচক্রের মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী।
তারা বলছে, মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান ও বিগত নির্বাচনের রেশ ধরে শিকার হয়ে গেলেন বাবুল মেম্বার।
সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ২০২১ সালের নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী সুলতান আহমদ সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্রের শিকার জাফরুল ইসলাম বাবুল। গত ৪ অক্টোবর পরিষদে যাওয়ার পথে থাইনখালীর জামতলী থেকে গ্রেফতার করেন সাদাপোশাককারি আমি শৃঙ্খলা বাহিনী । কিন্তু ৫ অক্টোবর টেকনাফের কাটাখালী থেকে ৫৫ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার দেখায়। যেটি সম্পূর্ণ সাজানো।
বক্তারা আরো বলেন, বাবুল মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, নানা অপরাধে ২১টির বেশি মামলা, গাড়ি, ফ্ল্যাট, বালুমহালের ব্যবসাসহ ৫০কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিক। যা শতভাগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
জাফরুল ইসলাম বাবুল পৈত্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। উচ্চশিক্ষিত এবং সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। অসংখ্য প্রতিষ্ঠান করেছেন। স্ত্রী একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। পিতা মৃত রশিদ আহমদ মিয়া একাধিকবার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। তার অবদান এলাকার সর্বস্তরের মানুষ অবগত। বাবুল মেম্বার মাদক, অস্ত্র কারবার দূরের কথা, সামান্য অপরাধের নজির নাই।
জাফরুল ইসলাম বাবুল গভীর চক্রান্তের শিকার দাবি করে ক্ষুব্ধ জনতা বলেন, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। পাশাপাশি চিংড়ি চাষ ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মেম্বার হওয়ার পর থেকে মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় এলাকায় মাদক কারবার অনেকাংশে কমে গেছে। সে কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে। ইতোপূর্বে আরো অনেকবার ফাঁসানোর চেষ্টা চালায়। ব্যর্থ হয়ে এবার সুকৌশলে র্যাবকে ব্যবহার করেছে অপরাধীচক্র।
আমরা বাবুল মেম্বারের মুক্তি চাইনা, মিথ্যা তথ্যদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের অনুরুদ জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, পালংখালী ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাজি জাকের হোসেন, স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা বেগম, এনামুল কবির।
মানববন্ধনে এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। সবাই জাফরুল ইসলাম বাবুল মেম্বারের মুক্তি দাবি করেছে।
তবে, জাফরুল ইসলাম বাবুলকে ফাঁসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, বাবুল মেম্বার অঢেল সম্পদের মালিক কিভাবে হলো? তিনি মাদক, গরু চোরাচালানসহ বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন। বিভিন্ন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। অনুসন্ধান করলে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসবে মনে করেন লে. কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন। এ জন্য সরেজমিন অনুসন্ধানি প্রতিবেদনের আহবান জানান তিনি।
Leave a Reply