জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শহিদ শেখ রাসেল দিবস -২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বিভাগীয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন, ময়মনসিংহ কর্তৃক দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয়। এই দিবসের প্রতিপ্রাদ্য বিষয় ছিল- ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’।
এ উপলক্ষে বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮ টায় ময়মনসিংহে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
মহিলা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য মনিরা সুলতানা, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়া, জেলা প্রশাসক মোঃ মুস্তাফিজার রহমান ও অন্যান্য সরকারি অফিস প্রধানগণ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ৯ টায় বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল ১০ টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে প্রধানমন্ত্রী দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর উদ্বোধন করেন। এটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার সরাসরি সম্প্রচার করে। অনুষ্ঠানটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কেন্দ্র থেকে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিস প্রধানগন এবং কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ উপভোগ করেন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজনে ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন তথ্যচিত্র ও প্রামান্য ভিডিও সম্প্রচার করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিভাগীয় কমিশনার ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (এডিসি) প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার এবং ময়মনসিংহ জেলায় জয় স্মার্ট সার্ভিস এন্ড এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন করেন।
এদিকে দুপুর ১২ টায় দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ ল্যাব পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সরকারি চাকুরি জীবীদের একসময় আমরা বঙ্গবন্ধু বা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিয়ে কোন কথা বলা যেতনা কিন্তু এখন বলা যায়। শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করা ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হচ্ছে । তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে কষ্টটা সহ্য করেছেন কোন পরিবারকে যেন তা করতে না হয় এবং পৃথিবীর কোন পরিবারে যেন এমন ঘটনা না ঘটে ।
ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে তার প্রতিভা বিলিয়ে দিতেন এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতেন এবং তিনি দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকতেন। জেলা প্রশাসক বলেন, শেখ রাসেল নির্যাতিত, নিপীড়িত শিশুদের প্রতিনিধি এবং দুরন্ত ও নির্মলতার প্রতীক।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জামাল হোসেন ,মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউশনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ নাসির উদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে শ্রেষ্ঠ ল্যাব বিজয়ীদের মাঝে বই ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে মসজিদগুলোতে বাদ জোহর বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির গীর্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিন উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিকাল ৫ টায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ এবং সুবিধাজনক সময়ে সংশ্লিষ্ঠ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply