1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
ভোমরায় পাসপোর্টযাত্রী সংকটে বিপাকে পেশাজীবীরা - দৈনিক আমার সময়

ভোমরায় পাসপোর্টযাত্রী সংকটে বিপাকে পেশাজীবীরা

সিরাজুল ইসলাম শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    প্রকাশিত : বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

 পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে ভোমরা স্থলবন্দর সীমান্ত রুট দিয়ে পাসপোর্টযাত্রীদের গমনাগমন ছিল স্বাভাবিক। গেল ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশী অন্তঃগামী যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৩৫০জন এবং ভারতীয় অন্তঃগামী যাত্রীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৩০জন।

 

 একই সময়ে বাংলাদেশী বহির্গামী যাত্রী ছিল ৩ হাজার ৮৭২জন এবং ভারতীয় বহির্গামী যাত্রী সংখ্যা ২ হাজার ৪৮৬জন। যার মধ্যে শিশুর সংখ্যা ১৯২জন।

 

স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের যাত্রী চলাচল ও ভ্রমণকর আদায় সংক্রান্ত মাসিক বিবরণী শাখা থেকে এ তথ্য নেওয়া হয়েছে।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ।

 

 প্রাপ্ত তথ্য মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের অন্তঃগামি এবং বহির্গামী যাত্রীদের নিকট থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ভ্রমণকর জমা পড়েছে রাজস্ব খাতে। এদিকে (ট্যুরিস্ট) ভ্রমণ ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বহির্গমন যাত্রী কমে গেছে অনেকাংশে। তবে বাংলাদেশী ৬৫বছর বয়স্ক নাগরিকদের প্রাপ্ত পাঁচ বছরের ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়ায় তারাই যাতায়াত করছে।

 

এছাড়া মেডিকেল ও বাণিজ্যিক ভিসা প্রাপকদের সংখ্যা খুবই কম। বলতে গেলে অন্তঃগামী ও বহির্গামী যাত্রীদের সংখ্যা প্রায় তলানিতে এমনটি বলছেন কাস্টমসের যাত্রী ব্যাগেজ অফিস কর্তৃপক্ষ।এ বন্দর রুটে পাসপোর্টযাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় ধ্বস নামায় বিপাকে পড়েছে যানবাহন চালকরা। যাত্রী অভাবে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে তারা। যান্ত্রিক চালিত সিএনজি, লেগুনা ও প্রাইভেটকার চালকরা এখন রয়েছে দুর্বিসহ অবস্থার মধ্যে। যাত্রী হোক বা না হোক প্রতি পাঁচ মিনিট পরপর গাড়ি ছাড়ার নিয়ম রয়েছে সিএনজি মালিক সমিতির পক্ষ থেকে। যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে এ নিয়ম চালু রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। অনেক সময় যাত্রী ছাড়াই গাড়ি ছাড়তে হয় চালকের। দেখা গেছে, ভোমরা থেকে সাতক্ষীরা পৌঁছাতে তেল খরচের টাকা ওঠে না তাদের।

 

 সিএনজি স্ট্যান্ডের স্টাটার খাদেমুল ইসলাম জানান, সবকিছুর মূলে রয়েছে যাত্রী সংকট। স্থানীয় যাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থায় কোন রকমে টিকে আছে তারা। এদিকে যা ত্রি-সংকটে অচলবস্থায় মুখোমুখি হয়েছে বন্দরের অধিকাংশ হোটেল, রেস্তোরাঁ, কনফেকশনারি ও চায়ের দোকান। যাত্রী সংকটে হোটেল ও রেস্তোরাঁয় তৈরি করা খাবারগুলো নষ্ট হচ্ছে বিক্রির অভাবে।

 

 ভোমরার ভাই ভাই হোটেলের ম্যানেজার জানান, আগে পাসপোর্ট যাত্রীদের ভিড়ে ভরপুর থাকতো হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো। বেচাকেনা হতো প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু বর্তমান সময়ে যাত্রী সংকটে হোটেল বন্ধের পথে। ইতোমধ্যে অনেক ছোট আকারের হোটেল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ভারতীয় কিছু ট্রাক চালকরা দুপুর ও রাতের খাবার খেতে আসায় কোন রকমে টিকে আছে এইসব হোটেলগুলো।

 

হোটেল মালিক কবির হোসেন জানান, নৃত্য পণ্যের দাম বাড়ায় তৈরি খাদ্যেরও দাম বেড়েছে কিছুটা। যে কারণে হোটেলে নাস্তা বা খাবার খেতে আসা খরিদ্দারদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অনীহা। অর্থের সাশ্রয় করতে অনেকেই খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন হোটেল থেকে। তবে পাসপোর্ট যাত্রীদের চলাচল ব্যবস্থা ভালো থাকলে এ দুর্ভোগের শিকার হতো না হোটেলসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com