এতদিন মানবতার ফেরিওয়ালার মুখোশে নিজের মুখ ঢেকে রেখেছিলেন ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুরের মাওলা হাবাসপুর গ্রামের ভারত প্রবাসী রাসেল নামের একজন রহস্যময় ব্যক্তি। সম্প্রতি রাসেল সহ সাত ব্যাক্তি ভারতের দিল্লিতে কিডনি পাচারকারী দলের সদস্য হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছে। দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ এপোলো হাসপাতালে তারা গড়ে তুলেছিল কিডনি পাচার চক্র। ডাক্তার বিজয়া কুমারীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের রাসেলসহ তিন ব্যক্তি এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে। এদিকে রাসেলের বাড়িতে ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় অনুসন্ধান কালে দেখা যায় রাসেলের বাড়িতে তার মা থাকেন। এক ভাই ঢাকায় থাকেন। অন্য ভাইয়েরা পারমাণবিকে চাকরি করেন। বাড়িটিও রহস্যময় । এই বাড়ির চারিদিক সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা বিস্ময়কর ভাবে ঘিরে রাখা হয়েছে। রাসেল কিডনি বিক্রি করে নামে বেনামে বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি গাড়ি জমি ক্রয় করেছে মর্মে জানা গেছে। মানুষের সর্বনাশ করে সে বিত্ত বৈভবের মানুষ হয়েছে। দিল্লিতে বাংলাদেশের কেউ গেলে সে তাদেরকে এমনভাবে আপ্যায়ন করতো যাতে মনে হতো এর রাসেলের মত এত ভাল ছেলে আর কেউ নেই। তার আতিথেয়তায় থাকা লোকজন মুগ্ধ হয়ে তাকে মানবতার ফেরিওয়ালা উপাধিতে ভূষিত করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিতেও দেখা গেছে।
এমতাবস্থায় দিল্লী পুলিশ ভারতে কিডনি পাচারকারী চক্রের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে এবং অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে রাসেলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে লোকজন নিয়ে গিয়ে তাদের কিডনি লাখ পাঁচেক টাকার মধ্যে ক্রয় করে ২৫ /৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে ব্যবসা করতো। সম্পূর্ণ প্রতারণামূলকভাবে সেই কিডনি বেচাকেনার কাজ করতো। ধূর্ত রাসেল এই প্রতারণার কাজকে বৈধতা দেবার জন্য আত্মীয়তার সম্পর্কের দলিল তৈরি করত। অনুসন্ধানের জানা গেছে রাসেল প্রায় পাঁচ বছর ধরে ভারতের দিল্লিতে বসে এই কাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে সে তার ভাইদের দিয়ে বাংলাদেশ থেকে লোকজনকে প্রভাবিত করে ভারতে নিয়ে যেত। এ ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধানের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন শঙ্কিত আতঙ্কিত লোকজন।
Leave a Reply