ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ডাকা হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি। রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক ছিল পরিবেশ। সকাল থেকে সরকারী দপ্তরের পাশাপাশি, ব্যাংক, বীমাসহ সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলে। এছাড়াও নির্ধারিত সময়েই খুলেছে দোকানপাট। সড়কগুলোতে ছোট-বড় সব ধরণের যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি স্বাভাবিক ছিলো ট্রেন চলাচল। তবে দূর পাল্লার কোন বাস ছেড়ে যায়নি। সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিলেও মাঠে দেখা যায়নি বিএনপির কোন নেতাকর্মীকে। ছিলো না কোন মিছিল বা সমাবেশ। সকাল থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিলো।
এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়ে শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত নাশকতার অভিযোগে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ৭০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার মোঃ শাখাওয়াত হোসেন জানান, নাশকতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির ডাকা হরতাল প্রতিহতের ডাক দিয়ে শান্তি সমাবেশ করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা। রবিবার সকাল থেকে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে। পরে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামসহ নেতা কর্মীরা। এ সময় বক্তারা বিএনপি ও জামাতের নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পরে জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা হরতাল বিরোধী মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
Leave a Reply