1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
বীরগঞ্জে দিনে চৈত্রের তাপ রাতে পৌষের শীত অনুভূত চলছে  - দৈনিক আমার সময়

বীরগঞ্জে দিনে চৈত্রের তাপ রাতে পৌষের শীত অনুভূত চলছে 

বীরগঞ্জ(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
    প্রকাশিত : শুক্রবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৫
দিনে চৈত্রের তাপ বেশি হলেও রাতে পৌষের শীত অনুভূত হচ্ছে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে।
ঘন কুয়াশার কারণে সড়ক-মহাসড়কের যানবাহনগুলো চলাচল করতে থাকে হেডলাইট জ্বালিয়ে। সকাল আটটার পর সূর্যের দেখা মেলায় কুয়াশা কেটে প্রখর রোদ দেখা যায়। আবার বিকেল হতেই মেঘে ঢাকা পড়ে  আকাশ।  চৈত্র মানেই প্রচন্ড দাবদাহ। আর এই দাবদাহে পুড়ছে গোটা দেশ। তপ্ত রোদে আরও পুড়তে হবে কয়েকটা দিন-এমনিপূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এরপর হয়তো দেখা মিলবে বৃষ্টির। তবে ব্যতিক্রমী এক চিত্র দেখা গেছে উত্তরের জেলার বীরগঞ্জ উপজেলা। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল। সকাল আটটার পর দেখা মেলে সূর্যের। এরপর ধীরে ধীরে কাটতে থাকে ঘন কুয়াশা। ষড়ঋতু চক্রে গ্রীষ্মকালের আগের চৈত্র মাস কাঠফাটা রোদই স্বাভাবিক। প্রকৃতিতে বয়ে যায় লু হওয়া। মাঝে মাঝে বৃষ্টি ঝরে তৃপ্ত ধরায় আশীর্বাদ নামে। চৈত্রের সেই চরিত্র হারিয়ে গেছে। কয়েক দিন  ধরে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। অন্যদিকে এই ভরা চৈত্র চৈত্রেও ঢেকে যাচ্ছে কুয়াশার চাদরে পুরো এলাকা। উঞ্চতা মাখা এলোমেলো বাতাসের বদলে রাত এবং ভোরে শিশিরভেজা ভাব চারপাশে। গতকাল ভোরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল প্রকৃতি।
অসময়ে কুয়াশার কারণে কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার শষ্কা করছে কৃষকরা। আবহাওয়াবিদরা জানান,মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আকাশে মেঘ থাকার কারণে মেঘ কুয়াশা হয়ে ঝরছে। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা কম থাকা ও বায়ুতে ধুলিকণার উপস্থিতি বেড়েছে। আরও কয়েকদিন চলতে পারে এমন ধরনের তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরেই এ উপজেলায় সন্ধ্যা হতেই শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে আকাশে মেঘ জমলেও বৃষ্টির দেখা মিলছে না। রাতে ফ্যানের সুইচ অফ রাখলেও মধ্যরাতের পর পুরোদস্তুর কাঁথা বা কম্বল গায়ে জড়াতে হচ্ছে। গতকাল বুধবার ভোররাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়তে থাকে মাঠ-ঘাট, পথ প্রান্তর। অনেক বেলা পর্যন্ত এই কুয়াশা অব্যাহত থাকে।  গোলাপগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর হিমাংশু দাস রানা জানান, বুধবার ভোররাতে যখন হাঁটার জন্য উঠি তখন দেখি চারদিকে ঘন কুয়াশা। ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করেই হাঁটতে যাই। চৈত্র মাসে এমন কুয়াশা আমি জীবনে দেখিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com