বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নগর ভবনের সভাকক্ষে মহানগর পর্যায়ে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল সিটি মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। সভায় মেয়র বলেন যাদের মধ্যে নূন্যতম দেশ প্রেম আছে তারা কোন ভাবেই দেশের মেট্রোরেল,বিটিভিসহ সরকারী স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে না। এরা দেশের শত্রু, জনগনের শত্রু। মেয়র আরো বলেন দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী যা নির্মান করেছেন তা তিনি একার ভোগের জন্য করেননি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করলাম কোটা আন্দোলনের নামে একটি মহল দেশের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা ভেঙে দিচ্ছে। সরকারী ভবনে আগুন দিচ্ছে, যানবাহনে আগুন দিচ্ছে। এটা কারা করছে, কেন করছে, কোটা আন্দোলনের সাথে এই নাশকতার কি সম্পর্ক প্রশ্ন রাখেন তিনি। তিনি আরো বলেন শিক্ষার্থীদের দাবী মেনে নিয়েছে। ঘটনার এখানেই শেষ হবার ছিলো। কিন্তু হয়নি। কারন একটি চেয়েছিলো সরকার পতন করতে। তাদের সেই আশা পূরন হয়নি। তারা এখনো ঐ এজেন্ডা নিয়ে মাঠে রয়েছে শিক্ষার্থীদের উপর ভর করে। তাই এখন সময় এসেছে এই মহলটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ও সচেতন হবার। মেয়র বলেন এই কাজটা আমাদের নিজ নিজ ঘর থেকে শুরু করতে হবে। আমাদের সন্তানদের বুঝাতে হবে যে কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল। একজন শিক্ষার্থী হিসাবে তাদের কি ভুমিকা রয়েছে। সিটি মেয়র শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন দিনদিন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে নৈতকতা উঠে যাচ্ছে। এখানে শিক্ষকদের ব্যর্থতা রয়েছে। তারা আগের মত শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নশীল হচ্ছেন না। তাই এ ব্যাপারে যত্নশীল হবার পরামর্শ দেন। বরিশাল মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডে সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। জনসাধারনকে সচেতন করতে সন্ত্রাস বিরোধী লিফলেট বিতরন করে তা নগরীর প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হবে।নগরীর প্রতিটি মসজিদে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সচেতন হতে বয়ান করা হবে। এছাড়া নগরীর প্রতিটি সরকারী গুরুত্বপূর্ন স্থাপনায় পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ সোহরাব হোসেন, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ ইউনুস আরী সিদ্দিকী, বরিশাল স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গৌতম বাড়ৈ, বিসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন, সচিব মাসুমা বেগম, র্যাব-৮, মহানগর পুলিশ, আনসারের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, নগরীর সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ, স্কুল-কলেজ মাদ্রাসার প্রতিনিধিগন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি, কাউন্সিলরগন ও গনমাধ্যম কর্মীরা।
Leave a Reply