বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় শুধু প্রশাসনিক কাজের কেন্দ্র নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। জেলা প্রশাসনের নিয়মিত সাপ্তাহিক গণশুনানি প্রতিটি বুধবার অনুষ্ঠিত হলেও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন এই দায়িত্বকে কেবল আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে নয়, বরং এক আন্তরিক দায়বদ্ধতা হিসেবে পালন করে চলেছেন। তিনি গণশুনানিতে আগত নাগরিকদের সমস্যা সরাসরি শুনে দ্রুততম সময়ে সমাধানে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত গত ৮ মাসে তিনি ১ হাজার ২৩ জন সেবাগ্রহীতাকে বিভিন্ন বিষয়ে সহায়তা প্রদান করেছেন। ৪ জুন বৃহস্পতিবার গণশুনানিতে বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা রাবেয়া বেগম (৫৬) তার চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যার কথা জেলা প্রশাসককে জানান জেলা গণশুনানিতে উপস্থিত থাকা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুবিনুল হক মুবিনের মাধ্যমে চিকিৎসা ও পরামর্শের ব্যবস্থা করেন। একইভাবে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শ্রাবণী আক্তার সুরাইয়া বই কিনতে না পারার অসুবিধার কথা জানালে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজের মাধ্যমে তাকে প্রয়োজনীয় পাঠ্যপুস্তক প্রদানের ব্যবস্থা করে দেন। কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা সাজনীন ইসলাম আবিদাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান ছাড়াও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নির মাধ্যমে সেলাইমেশিন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যা তাকে আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে। গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেরুন নাহার মুন্নি, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ পারভেজ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিত কুমার সরকার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি। নাগরিকের সমস্যা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেরণ করে দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও তিনি দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রণজিত কুমার সরকারের মাধ্যমে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। বরিশাল জেলা প্রশাসকের এ ধরনের কার্যকর গণশুনানি আয়োজন একটি সমন্বিত, স্বচ্ছ ও জনমুখী প্রশাসনের প্রতিফলন যা নাগরিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
Leave a Reply