বরিশালে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নগরীসহ সদর উপজেলার সকল মন্ডপের দূর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেয়ার সিদ্বান্ত নেয়া হয়েছে। মহানগর ও সদর উপজেলার পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে বিএমপি পুলিশ কমিশনারের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ (বিএমপি) কমিশনারের কার্যালয়ে এ সভা হয়। দূর্গা পূজা উপলক্ষে আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বরিশাল নগরীর এলাকায় ৮৭টি মন্ডপে পূজা হবে। এর মধ্যে ৭৮টি সার্বজনীন ও ৯টি ব্যক্তিগত মন্ডপ। এর মধ্যে ৩৬টি অধিক ঝুকিপূর্ন এবং ৩৭টি ঝুকিপূর্ন মন্ডপ রয়েছে। ৪টি মন্ডপ নিয়ে বিরোধ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিরোধ সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ৪৯টি মন্ডপে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যে পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সামর্থ্য নেই তাদের পুলিশ সহায়তা করবে। মন্ডপের ধরন অনুযায়ী নিরাপত্তায় ৪, ৬ ও ৮ জন করে আনসার মোতায়েন থাকবে। কতজন পুলিশ সদস্য থাকবেন, তার সঠিক কোন সংখ্যা না বললেও ব্যাপক সংখ্যক সদস্য থাকবেন জানিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, মন্ডপে পোষাক ও সাদা পোষাকধারী পুলিশ সদস্য থাকবেন। থাকবে একাধিক টহল দল। স্বেচ্ছাসেবক থাকবে ৮৪১ জন। এছাড়া পূজা মন্ডপ কেন্দ্রিক সম্প্রীতি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার আরো জানান, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। আতসবাজি নিষিদ্ধ থাকবে। সামনে নির্বাচন থাকায় সবাইকে সতর্ক হয়ে পূজা উদযাপনের আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, পূজাকে ঘিরে মাদক নিয়ন্ত্রণে সকলকে সম্মিলিত ভাবে প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন, উপ-পুলিশ কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা, উপ-পুলিশ নজরুল ইসলাম, উপ-পুলিশ জাকির হোসেন মজুমদার, র্যাব-৮ এর উপ-পরিচালক মেজর জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম, মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, সচেতন নাগরিক কমিটি বরিশালের সাবেক সভাপতি শাহ সাজেদা, বাবুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল দুলাল, বরিশাল জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মানিক মুখার্জী কুডু, মহানগরের সাবেক সভাপতি নারায়ন চন্দ্র দে নারু, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরঞ্জিৎ দত্ত লিটু, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতিসহ বরিশাল মহানগর ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
Leave a Reply