ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের নিরাপদ প্রজননের লক্ষে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন, মজুদ ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ও আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার ১৭তম দিনে ২৮ অক্টোবর শনিবার সকালে বরিশালের বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের আয়োজনে বরিশাল নগরীর ডিসি ঘাট থেকে হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় কীর্তনখোলা, মেঘনাসহ বেশ কয়েকটি নদীতে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জেলা টাক্সফোর্স কমিটির সভাপতি ও বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী, বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (এ্যাডমিন এন্ড ফিনান্স) মোঃ ফারুক উল হক, বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, হিজলা ও মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সহ আরো অনেকে। শুরুতে বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আলোচনা এবং অভিযানের উদ্বোধন করেন। এরপরে নৌ-পুলিশ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড এর সমন্বয়ে কীর্তনখোলা, মেঘনা নদীসহ বেশকিছু নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ৮০ কেজি ইলিশ মাছ সহ ১ লক্ষ ২০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়। পরে জব্দকৃত মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয় এবং উদ্ধারকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
Leave a Reply