বরিশালে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান শুরু করেছে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল ৮ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নদীতে অভিযান শুরু করে নৌ-পুলিশ ও মৎস্য অধিদপ্তর। ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তর। বরিশাল অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে মৎস্য কর্মকর্তা ড. বিমল চন্দ্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, সদর নৌ থানার ওসি আবদুল জলিলসহ নৌ-পুলিশের সদস্যরা কীর্তনখোলা নদীতে মা ইলিশ ধরা বন্ধে নৌ টহল ও অভিযান পরিচালনা করে। নৌ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, নদীতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অভিযানের ২২ দিন নৌ-পুলিশের ৩ শত ৫০ জন সদস্য বিভিন্ন নদীতে নিয়োজিত থাকবে। তাই প্রথম দিনে সরকারী নিষেধাজ্ঞা মানায় কোন জেলের জেল জরিমানা কিংবা কারাদন্ডের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ইলিশ বিক্রির দায়ে আগৈলঝাড়া উপজেলায় এক বিক্রেতাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এবার সরকারের নির্দেশে ইলিশ রক্ষায় বরিশালের নদ নদীর ৩২ টি পয়েন্টকে ঝুকিপূর্ন চিহিৃত করা হয়েছে। এ সকল ঝুকিপূর্ন এলাকায় যৌথবাহিনী টহলে থাকবে। জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রত্যেক জেলা উপজেলায় একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স সহ ৩২ জন কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার আওতায় অভয়াশ্রমের জেলাগুলো হলো বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও লক্ষ্মীপুর। বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস জানিয়েছে, শুধুমাত্র আগৈলঝাড়ায় মাছ বিক্রি করার সময় এক বিক্রেতাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্য কোথাও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকার, পরিবহন ও বিক্রির খবর পাওয়া যায়নি। ড. বিমল কুমার দাস আরো বলেন, ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা সফল করতে সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকের টাস্কফোর্স উপজেলা প্রশাসন সহ সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করবে। এ সময় আইন অমান্য করে মা ইলিশ শিকার করলে জেল জরিমানা করা হবে।
Leave a Reply