নাটোরের বড়াইগ্রামে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে অন্তত ১শত বিঘা জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে এসব জমিতে কোনো চাষাবাদ করতে পারছেন না কৃষক। কয়েক বছর আগেও মাঠের পর মাঠ রবিশস্যসহ বোরোর আবাদ হতো। কিন্তু বিলের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় বছরের পর বছর জমিতে ফসল ফলাতে পারছেন না কৃষক। ফসলি জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার কারণে কৃষক দুশ্চিন্তায়। সরকারের তরফ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আর্থিক সংকট ও খাদ্যাভাব দেখা দেবে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কোকরার বিল, সাতগাড়ি বিলসহ কয়েকটি বিলের প্রায় ১শত বিঘা জমিতে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে এসব জমি। কোনো কোনো জমিতে হাঁটু সমান পানি জমে আছে।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জিয়াদ আব্দুল্লাহ, আব্দুর রহিম বলেন, গত ৩/৪ বছর ধরে নিচু প্রকৃতির জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ফসল ফলাতে পারছেন না তারা। কৃষকদের অভিযোগ কোকরার বিলে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করলে।কোকরার বিল, এবং সাতগাড়ি বিলে ফসল উৎপাদন করতে পারলে এলাকাবাসী সবাই লাভবান হবেন। স্থানীয় কৃষক সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল বলেন, জলাবদ্ধ জমিগুলো ফসল ফলানোর উপযোগী করা না হলে পরিবার পরিজন নিয়ে তাদের না খেয়ে থাকতে হবে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানা বলেন, জলাবদ্ধ জমিগুলো পরিদর্শন করা হবে। পানি সহনীয় কিছু ফসল রয়েছে সেগুলো চাষাবাদ করার ব্যাপারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু রাসেল বলেন, উপজেলায় বেশকিছু বিলে জলাবদ্ধতা দূর করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply