1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
বঞ্চিত বিধবার আহ্বান ষড়যন্ত্র ও হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন - দৈনিক আমার সময়

বঞ্চিত বিধবার আহ্বান ষড়যন্ত্র ও হয়রানির বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারের আবেদন

আমার সময় অনলাইন
    প্রকাশিত : সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫

জান্নাতুল ফেরদৌস, একজন বিধবা, যিনি তার প্রয়াত স্বামীর সম্পত্তি থেকে তাকে ও তার সন্তানদের বঞ্চিত করার জন্য সংগঠিত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। আজ তিনি গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছেন কীভাবে ডিবির সাবেক কর্মকর্তা হারুনের মাধ্যমে কবির আহমেদ, বিদ্যুৎ ঘোষ, মুসা আহমেদ এবং তাদের সহযোগীরা তার প্রতি কিভাবে অবিচার করে চলেছে। তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার নিকট ন্যায়বিচারের আকুল আবেদন জানিয়েছেন এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।

জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী হাসান আহমেদ বাংলাদেশের বীমা খাত ও ব্যবসায়িক জগতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একজন জুট মিল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং জুট রপ্তানির মাধ্যমে দেশের জন্য বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতেন। ২০২০ সালে স্ট্রোকের কারণে হাসান আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তখন থেকেই তার সহকর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ এবং তার ভাই কবির আহমেদ তার সম্পত্তি আত্মসাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেন।

হাসান আহমেদের অসুস্থতার সময় বিদ্যুৎ ঘোষ তার অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ফাইল সরিয়ে নেন। এ নিয়ে হাসান আহমেদ মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ১৩৪) করেন। বিদ্যুৎ ঘোষ ও কবির আহমেদের নেতৃত্বে তাকে তার ব্যক্তিগত অফিস এবং পৈত্রিক বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি হাসান আহমেদ প্রচÐ অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর বিদ্যুৎ ঘোষ, কবির আহমেদ, এবং তাদের সহযোগীরা জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে, যা পরে পল্টন থানার পুলিশ মিথ্যা প্রমাণ করে।

যদিও পল্টন থানার পুলিশ জান্নাতুল ফেরদৌস ও তার পরিবারকে নির্দোষ ঘোষণা করে, বিদ্যুৎ ঘোষ এবং তার সহযোগীরা ডিবির হারুনের মাধ্যমে পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ ঘোষকে তার দেবর মুসা আহমেদ বেইলি রোডে তিন কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট উপহার দেন।

জান্নাতুল ফেরদৌস একাধিকবার প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছেন, কিন্তু কোনো সহায়তা পাননি। শেষ পর্যন্ত ৩ জুলাই, ২০২৪ তারিখে তিনি বিদ্যুৎ ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা (মামলা নং ২) করেন। যদিও বিদ্যুৎ ঘোষকে আটক করা হয়, তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে সম্পত্তি ফেরতের মিথ্যা প্রতিশ্রæতি দেন, যা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

আগামী ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে নবম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকা, জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার ডিসচার্জ শুনানি হবে। তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন, তার পরিবারকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য।

জান্নাতুল ফেরদৌস, যার ছোট ছোট সন্তানরা তাদের পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত, তার পরিবার ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা, এবং হয়রানিতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরকার, গণমাধ্যম এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে বিদ্যুৎ ঘোষ গংদের দ্রুত গ্রেফতার ও দেশত্যাগে নিশেধাজ্ঞার দাবিতে প্রশাসনের নিকট সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com