1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে : বাকৃবি ভিসি - দৈনিক আমার সময়

প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে : বাকৃবি ভিসি

শুভ বসাক, ময়মনসিংহ
    প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৩

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেছেন, চাল উৎপাদনের গুরুত্ব কমিয়ে বরং প্রাণিজ প্রোটিন উৎপাদনে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রান্তিক ভোক্তা পর্যায়ে ডিম খাওয়া নিশ্চিত করতে চাল উৎপাদনের মতো ডিম উৎপাদনেও প্রণোদনা দেওয়া উচিত। প্রত্যেকের প্রতিদিন কম করে একটা ডিম খাওয়া উচিত।শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) পশুপালন অনুষদের বিজ্ঞান বিভাগ ও বিশ্ব পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের ব্রাঞ্চের আয়োজনে ‘ডিমে পুষ্টি, ডিমে শক্তি, ডিমে আছে রোগমুক্তি’ স্লোগানে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।দিবসটি উপলক্ষ্যে পশুপালন অনুষদের শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সকাল ১০টায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি পশুপালন অনুষদ থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে গিয়ে শেষ হয়।দিবসটি উপলক্ষ্যে ‘ভবিষ্যত সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিম’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. বাপন দে এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ।এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা – বিবি) সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান, ওয়াপসা – বিবির সাধারণ সম্পাদক ড. বিপ্লব কুমার প্রামানিক, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল আউয়াল ও পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজেদা আখতার।আলোচনা সভায় ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী বলেন, সব থেকে সস্তায় পাওয়া প্রোটিন উৎস হচ্ছে ডিম। ডিম একটি পরিপূর্ণ খাবার।সর্বশেষ তথ্য মতে, বাৎসরিক বাংলাদেশে ডিম উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ২৩.৩৩ বিলিয়ন এবং মাথাপিছু ডিমের পরিমাণ বছরে ১০৬টি। ২৫ গ্রাম প্রোটিন বাজার মূল্যে পেতে ডিমের পিছনে খরচ করতে হয় মাত্র ৪০ টাকা যা অন্যান্য সব উৎসের তুলনায় সর্বনিম্ন। প্রতিটি ডিমে প্রোটিন রয়েছে ৭.৫৫ গ্রাম। ডিমে প্রোটিন, মিনারেল, ভিটামিন, অ্যামিনো এসিড, কোলিন ইত্যাদি অনেক পরিমাণে থাকে। যা হৃদরোগ, চোখের রোগ, স্ট্রেস, উচ্চ রক্তচাপ, মাথাব্যথা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

বর্তমানে মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কারণে ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু অন্যান্য দ্রব্যের তুলনায় বেশি না। নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধির তুলনায় ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ২২ ভাগ।বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, পৃথিবীতে তিনটি দেশ আছে যারা বাংলাদেশের থেকে কম দামে ডিম উৎপাদন করে। এদিক থেকে বর্তমানে ডিমের মূল্য সাশ্রয়ী আছে। বাংলাদেশকে সুপার পাওয়ার দেশ বানাতে গেলে জাতিকে ডিম খাওয়ানোর বিকল্প নেই। ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে গেলে জাতিকে ডিম খেতে হবে। কমদামে কিভাবে ডিম সবার জন্য নিশ্চিত করা যায় এটা নিয়ে আমরা কাজ করব। স্কুলগুলোতে টিফিনে ডিম খাওয়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com