কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে জেলের বড়শিতে ধরা পড়লো ১২ কেজি ওজনের একটি কোরাল ও ৯ কেজি ওজনের একটি লাক্কা মাছ।পরে মাছ দুটি আলী আহমেদ নামের এক মাছ ব্যবসায়ী ২২ হাজার টাকায় কিনে নেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে নাফনদীর টেকনাফের হ্নীলার ওয়াব্রাং ও দমদমিয়া পয়েন্ট থেকে মাছ দু’টি বড়শিতে ধরা পড়ে।এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন মাছ ব্যবসায়ী আলী আহমেদ।
হ্নীলা বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আলী আহমদে বলেন, নাফনদীর হ্নীলা ওয়াব্রাং পয়েন্টে শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে লাল মিয়া নামের এক জেলের বড়শিতে ১২ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়ে।পরে ওই জেলের কাছ থেকে কেজি ১ হাজার টাকা করে ১২ হাজার টাকায় ক্রয় করা হয়,তাকে আরো ১ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১৩ হাজার টাকায় দেওয়া হয়।
অপদিকে একই সময় রহমত উল্লাহ নামের আরো এক জেলের বড়শিতে দমদমিয়া পয়েন্টে ৯ কেজি ওজনের একটি লাক্ষা মাছ ধরা পড়ে।সেটিও কেজি ১ হাজার করে ৯ হাজার টাকায় তার কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়।মাছ দু’টি ভালো দামে বিক্রি করার জন্য কক্সবাজারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে তিনি জানায়।
হ্নীলার সুলিশ পাড়ার বাসিন্দা জেলে লাল মিয়া বলেন, বড়শিতে নিয়ে শুক্রবার নাফনদীতে মাছ ধরতে যায়।পরে ঘন্টাখানেক পর আমার বড়শিতে একটি কোরাল মাছ ধরা পড়েন।আমি মাছটি নিয়ে হ্নীলা বাজারে মাছ ব্যবসায়ী আলী আহমেদের কাছে ১৩ হাজার টাকায় বিক্রি করি।
তবে মাছটি পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত হয়েছি।আমার পরিবারের খরচের জন্য মোটা অংকের কিছু টাকা হাতে পেলাম।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, কোরাল দ্রুত বর্ধনশীল মাছ। পরিবেশ ভালো পেলে মাছটি সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। কোনো কোনো সময় এর বেশি ওজনের কোরালও পাওয়া যায়।এই নদীর মাছ খুবই সুস্বাদু। তাই জেলেরা দামও ভালো পেয়ে থাকেন। নাফ নদীতে বড়শী ফেললে এখন বড় বড় কোরাল মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
অপরদিকে লাক্কা মাছ একটি সামুদ্রিক মাছ,জেলের বড়শিতে নাফনদীতে লাক্কা মাছটি ধরা পড়লো সেটি অত্যন্ত ভাগ্যের ব্যাপার।এ মাছটি অভিজাত মানুষের কাছে অতন্ত্য প্রিয় এটি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর একটি মাছ বলে তিনি জানায়।
Leave a Reply