হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায়৫১টি এবং গুরুদাসুপুর উপজেলায় ৩৪ টি পূজামন্ডপে স্বতঃস্ফুর্ত আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে দুর্গোৎসব পালন করা হচ্ছে।
শারদীয় দুর্গোৎসবের বড়াইগ্রাম গুরুদাসপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জের প্রত্যেকটি মন্ডপে মন্ডপে ছুটে গিয়েছেন কেএম জাকির হোসেন, এ সময় প্রতিটা মন্ডপে গিয়ে শেখ হাসিনাকে টানা চতুর্থবার ক্ষমতায় রাখার জন্য নৌকা মার্কায় ভোট চান।
শনি,রবিবার(২১,২২অক্টোবর)বড়াইগ্রাম উপজেলার (৫১) টি, এবং সমবার (২৩) অক্টবর)গুরুদাসপুর উপজেলার(৩৪) টি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন তিনি, এসময় তার সফর সঙ্গী হিসেবে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বড়াইগ্রাম গুরদাসপুর উপজেলা,ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ,আওয়ামীলীগ,যুবলীগ, ছাত্রলীগ শহ সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বর্তমান বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং পৌর কাউন্সিলরগণ, সহ প্রাই দুই শতাধিক নেতাকর্মী।
পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে, মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে তিনি মতবিনিময় করেন,এছাড়াও ধর্মীয় সম্প্রীতি-সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের সান্নিধ্যে কুশল এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন,মনোনয়ন প্রত্যাশী কে এম জাকির হোসেন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় আনন্দ দুর্গাপূজা,তাই তাদের সাথে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে উৎসবকে ভাগ করে নিলাম। পরে পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির হাতে মনোনয়ন প্রত্যাশী কে এম জাকির হোসেন নিজস্ব অর্থায়নে কিছু অর্থ প্রদান করেন,মনোনয়ন প্রত্যাশী কে এম জাকির হোসেন বলেন, সম্প্রীতির এক উজ্জল দৃষ্টান্ত হচ্ছে বড়াইগ্রাম গুরুদাসপুর উপজেলা। সম্প্রীতির ঐতিহ্য বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজার সকল আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি,এসময় তিনি সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন এবং জামাত বিএনপির নৈরাজ্যর চিত্র তুলে ধরে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন,বক্তব্যের শুরুতে তিনি প্রয়াত নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি কে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেন,ও শোক প্রকাশ করেন,এবং তিনি বলেন উপ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া ব্যক্তির কারণে, ইতিমধ্যে গুরুদাসপুর বড়াইগ্রামের মানুষের বুকফাটা আর্তনাদ ও হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে, এ কারণে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬১- নাটোর- ৪ বড়াইগ্রাম গুরদাসপুর আসনে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি, তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের মানুষ যেমন শেখ হাসিনার কাছে নিরাপদ, গুরুদাসপুর বড়াই গ্রামের তৃণমূলের ত্যাগী, নির্যাতিত,প্রকৃত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারী আওয়ামী লীগের মানুষ, কে এম জাকির হোসেনের কাছে নিরাপদ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জদি তাকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেন, তাহলে রেকর্ড পরিমাণ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে, এ আসনটি নেত্রীকে উপহার দেবেন তিনি, তিনি আরো বলেন,এই আসন দলের জন্য আমি আমার বাবাকে হারিয়েছি,১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধু যখন বনপাড়ায় আসেন, ওই মিটিং এর সভাপতি করেছিলেন,আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ডাঃ আয়নুল হক, ২০০২ সালের ২৯ মার্চ বিএনপি সন্ত্রাসেরা নিঃসংশ ভাবে রাস্তায় ফেলে আমার বাবা কে কুপিয় কুপিয়ে হত্যা করেন এবং আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রায় ২০০ টি বাড়ি জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল এবং ২০০২ সালের ১৫ ই সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধী দলের নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় দেশরত্ন শেখ হাসিনা, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ডাক্তার আইনুল হকের কবর জিয়ারত করেন এবং কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্মরণসভা করেন।
আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ডাক্তার আয়নুল হক, মাঝগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ছিলেন,বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি ছিলেন, এবং মাঝগ্রাম ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
আমি তার পুত্র-
কে.এম. জাকির হোসেন, ওপরে আল্লাহ এবং নিচে নেত্রীর স্নেহ মমতায় ছাত্রলীগ থেকে আওয়ামী লীগ করেছি, ৪০ বছর ধরে রাজনৈতিক বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পার হয়ে, প্রশাসন দ্বারা বার বার নির্যাতিত হয়ে, কারা ভোগ করে জেল জুলুম খেটে, জনগণের ভালোবাসায় বনপাড়া পৌরসভায় জনগণের ভোটে তিনবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছি,আমি মনে, এবং বিশ্বাস করি, করি নেত্রী মনোনয়ন আমাকেই দেবেন,তাই আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদে মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়ে, সকলের কাছে দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন,
এসময় কিছু কিছু মন্দিরের পূজা আর আর্চনাকারি ও সনাতন ধর্মাবলম্বী জনগণ কে এম জাকির হোসেনকে তাদের মন্দিরে পেয়ে আবেগ আপ্লুত ও উচ্ছাসিত হয়ে পড়েন, তারা বলেন এমন গণমানুষের নেতাকেই তারা বড়াইগ্রাম গুরুদাসপুরের এম পি হিসাবে দেখতে চান।
Leave a Reply