নাটোরের বড়াইগ্রামে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে দরিদ্র মেধাবী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী শাকিল হোসেনের পাশে দাড়ালেন বড়াইগ্রাম উপজেলা ইউএনও মোছা. মারিয়াম খাতুন। বৃহষ্পতিবার তারা উভয়ই প্রাথমিকভাবে ভর্তির জন্য পঁাচ হাজার করে টাকা প্রদান করেন তাকে।
অর্থের্র অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থী শাকিল হোসেনের (১৭)। বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে প্রতি শ্রেণিতেই ১ম স্থান অর্জন করার পাশাপাশি জোনাইল এমএল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং জোনাইল ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। পরবর্তীতে ভর্তি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ লাভ করে। কিন্তুু অর্থের্র অভাবে শঙ্কার মুখে পড়ে শাকিল হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া।
সে উপজেলার জোনাইল ইউনিয়নের দ্বারিকুশি গ্রামের কৃষক বাবলু হোসেনের ছেলে। তার ভাই বেলাল হোসেন (২৫) টিউশনি করে নিজের খরচ নিজে যোগাড় করে অধ্যয়নরত আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ভূমিহীন দরিদ্র বাবলু হোসেনের পরিবারে পঁাচজন সদস্য। অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি পুত্র শাকিল হোসেনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো কঠিন হয়ে পড়ে বাবলু হোসেনের। এই খবর পেয়ে জাতীয় দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার সংবাদ প্রচার করে পরে শাকিলের ভর্তির ক্ষেত্রে পাশে দঁাড়ালেন বড়াইগ্রাম উপজেলা ইউএনও।
Leave a Reply