সরকার পতনের পরের দিন ওয়ারেস সরকার তার দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত ও রড দিয়ে আব্দুর রহমান মোল্লার দুই ছেলেকে কোপ দেয়। এতে সাইফুল মাষ্টার সহ দুই ভাই আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে বড়াইগ্রাম ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওয়ারেস সরকারের লোকজন, ওয়ারেস সরকার, সহ সিরু,মুনসুর,রাজ,আঃ খালেক,মজনু,বজলু,ইমরান,ইসলাম,ইকরাম,রসিদ,রকিব,আকিব,জুয়েলে,তানভীর,ও মাহীন, আরো অনেকে আবদুর রহমান মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে, লুটপাট চালানো হয়, ওচলে জাবার সময় একটি মটরসাইকেলও খড়ের পালায় আগুন ধরিয়ে পুরিয়ে দেওয়া হয়।ওই গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, মোল্লা বাড়ীর আবদুর রহমান মোল্লার স্ত্রী ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। ঘরটি পাকা দেয়ালের উপর টিনের চালা। ঘরে বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙ্গা। ঘরের সামনে পাকা বসার জায়গা তা ভেঙে ফেলেছে। পাশে পড়ে আছে বৈদ্যুতিক পাখা, ঘরের ভিতরে ফ্রীজ, শোকেস, হাড়ি-পাতিল, আলমারিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর অবস্থায় পড়ে আছে।
আবদুর রহমান মোল্লার স্ত্রী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। মোবাইলের মেসেজের মাধ্যমে জানতে পারি গ্রামের ওয়ারেসসরকার সহ ৪০/৫০ জন লোক আমার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। বাড়ির সব কিছু তছনছ করেছে। কেন এটা করলো আমি তা জানিনা। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে আবদুর রহমান মোল্লা বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাড়ী ভাংচুর করে তছনছ করে দিয়েছে।
প্রতিবেসি ইয়াসিন আলী বলেন, এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। তবে আবদুর রহমান মোল্লার বাড়িতে কেন হামলা চালিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। চেয়ারম্যান ও আমরা মিলে এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শাফিউল আজম বলেন, নগর ইউনিয়নে রড়দেহাগ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। গত ৫তারিখ বিকালে আবদুর রহমান মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। যদি না আসে তাহলে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply