নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পেড়লী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেনের বড়ো ভাই আজাদ শেখ (৩৪) কে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সে ওই ইউনিয়নের উত্তর পাড়া সালাম শেখ এর ছেলে।
২০ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সমাবেশ থেকে বাড়ি ফেরার পথে যুবলীগ কর্মী আজাদ শেখ এর উপর পড়লী ইউনিয়নের পেড়লী গ্রামের মোহসিন চৌরাস্তার মোড় নামক স্থানে এ হমলার ঘটনা ঘটে।
এ-সময় স্থানীয়রা ঘটনা স্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজাদকে মৃত ঘোষণা করেন।
কালিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ তাসমীম আলম বিসয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় দের সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। বাবু শেখ ও একই গ্রামের শহীদুল ভূঁইয়ার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব সংঘাত চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪/৫ দিন আগে ভূঁইয়া গ্রুপে লোকজন কে পেড়লী বাজার থেকে অপমান অপদস্থ করে বের করে দেন বাবু চেয়ারম্যান এর লোকজন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় দু দলের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
এই সুযোগে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের খুলনা বিভাগীয় অনুষ্ঠিত তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে সন্ধ্যার পর মোহসিন মোড়ে আজাদ শেখ পৌঁছালে আগে থেকে ওত পেতে থাকা বিরোধী পক্ষরা আজাদ শেখ এর উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে।
এসময় আহত রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা আজাদকে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নড়াইল- ১ আসনের মাননীয় সাংসদ মানবতার ফেরিওয়ালা বৃহত্তর কালিয়া আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান কবিরুল হক মুক্তি ছুটে যান। এর কিছু সময় রাত সাড়ে ৮টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর পরপরই আজাদ শেখের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজন ৭/৮টি বাড়ি ভাংচুর,লুটপাট সহ অগ্নিসংযোগ করে। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ বিসয়ে মাননীয় সাংসদ (এমপি) শোস্যাল মিডিয়ায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে একটি পোস্ট দেন।
পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন বলেন, আজাদ শেখের মৃত্যুর খবরে প্রাথমিক অবস্থায় পেড়লী গ্রামে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তবে ঘটনা শোনা মাত্রই পুলিশের একাধিক টিম ওই এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply