ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হামলা করে পুলিশ হেফাজত থেকে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ নামীয় ৭৪ ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
ধামরাই থানার এসআই কাওসার সুলতান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গতকাল পর্যন্ত এ মামলার কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সরে জমিনে গেলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান, উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ভাবনাটি গ্রামের মৃত মীর হোসেন মাস্টারের ছেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নেতা নুরে আলম সিদ্দিক নান্নুকে ধামরাই থানার এসআই কাউসার সুলতান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে তার নিজ গ্রাম থেকে আটক করে। আটক করার পর নান্নুকে উপজেলার কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র নিয়ে আসে। ওই সময়ই আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার শত শত নারী পুরুষ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ঘেরাও করে হামলা করে। সেইসাথে রাস্তায় বেরিকেট দেয়।
পরে রাত ১১টার দিকে পুলিশ হেফাজত থেকে আটককৃত নান্নুকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় ঘেরাও কারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী অনেকে জানান,নান্নু আওয়ামীলীগ করে ঠিক আছে। কিন্তু তার আচরণে কারো কোনো ক্ষতি হয়নি। যার কারনেই তার আটক হওয়ার খবর শুনে এলাকাবাসী পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে তাকে ছিনিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার এস আই এসএম কাউসার সুলতান বলেন,আওয়ামী লীগ নেতা নান্নু এজাহার ভূক্ত আসামি না থাকলেও তাকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য আটক করা হয়েছিল। কিন্তু এলাকাবাসী তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ নেতা নান্নুকে ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, নান্নুকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। কিন্ত কতিপয় ব্যক্তিরা তদন্ত কেন্দ্রে হামলা করে ভাংচুর করেছে বিধায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নুরে আলম সিদ্দিক নান্নুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply