ঢাকার দোহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বেগম আয়েশা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও অসদাচরণের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
৭ নভেম্বর ( বৃহস্পতিবার) দুপুরে শিক্ষার্থীরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল টি বের করে উপজেলায় গিয়ে শেষ করে।
দীর্ঘদিন যাবত স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছেন প্রধানশিক্ষিকা কুলছুম বেগম। দীর্ঘদিন ধরে কুলসুম বেগমের বিরুদ্ধে নিজের নিয়োগসহ, বিসিবি সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের শ্যালিকা পরিচয়ে প্রভাব বিস্তার ও স্বেচ্ছাচারীতা, ১২ জন আত্মীয় স্বজনের নিয়োগ, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে চাদাবাজি, দূর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য, অসদাচরণ ও বোর্ড পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের অভিযোগে এবং স্কুল থেকে স্থায়ী অপসারণের দাবীতে আবারো আজকের আন্দোলন করেছে হাজারো শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী দীর্ঘদিন যাবত প্রধান শিক্ষক কুলছুম বেগম বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। তার স্থায়ী অপসারণের দাবীতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করলে ততকালীন ইউএনও জনাব মো: জাকির হোসেন, কুলছুম বেগমের অনুপস্থিতিতে তার সাথে ব্যাক্তি ও ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হলে, স্বাক্ষরিত এক পত্রে ২৫/০৮/২০২৪ তারিখে তার পরিবর্তে, সর্বজৈষ্ঠ্য সহকারি শিক্ষিকা নাদিরা বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ দেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতির ক্ষমতাবলে ইএনও এই দ্বায়িত্ব অর্পণ করেন।
বিগত প্রায় ৩ মাস ধরে কুলছুম বেগম প্রতিষ্ঠানে আসেননি। গণ অভ্যুত্থানে উৎখাত বিগত আওয়ামী সরকারের এমপি ও বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও স্থানীয় সাবেক এমপি সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ট হিসাবে বিভিন্ন সময়ে প্রভাব বিস্তার ও অনিয়মতান্ত্রিক কাজ করায় এবং একাডেমিক কাজে মনোনিবেশ না করায় অপসারন দাবীতে এই আন্দোলন আরো তীব্র হয়েছে।
এছাড়াও, ছাত্র জনতার আন্দোলনে সক্রিয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে হুমকি ধামকি দিয়ে তিনি আন্দোলন থেকে নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করেছেন এবং আন্দোলনকারীদের নিয়ে ক্লাসে কটুক্তির অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এই আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের অন্যতম নেতৃত্বেদানকারী শীর্ষ উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনির মেধাবী শিক্ষার্থী, সানজিদা আক্তার বলেন,আমরা চাই এমন স্কুল যেখানে থাকবে না কোনো দূর্নীতি ও অনিয়ম
আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে একজন দক্ষ, রুচিশীল, স্নেহপ্রবণ এবং মার্জিত প্রধান শিক্ষিকা চাই।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, কুলছুম বেগমের হুমকিতে, আমরা কিছু শিক্ষার্থী পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমরা ফ্যাসিবাদের দোসর এবং নিজে ফ্যাসিস্ট, দূর্নীতিবাজ কুলছুম বেগমের স্থায়ী অপসারন চাই।
এই সময় আন্দোলনকারীরা স্কুলের সামনের প্রধান সড়ক কিছু সময়ের জন্য অবরোধ করে রাখেন। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে কুলছুম বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply