আকাশে কালো মেঘ দেখলেই প্রমাদ গোনেন উপকূলের বাসিন্দারা। সেখানে দুর্যোগ-দুর্বিপাক আঘাত হানে বারবার। আসে সিডর, আইলা, ফণীর মতো প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়। প্রতি বছরই ঝড়-তুফান ও ঘূর্ণিঝড় উপকূলবাসীকে তাড়া করে ফেরে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় উপকূল ঘিরে থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মোট ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা-খুলনা-বাগেরহাট উপকূলের ৪২৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধই রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। লক্ষীপুর-নোয়াখালী, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্টমার্টিন সর্বত্রই বেড়িবাঁধের ধ্বংসযজ্ঞ বিদ্যমান। জলোচ্ছ্বাসসহ সামুদ্রিক ঝড় থেকে উপকূলীয় জনপদ রক্ষায় বন বিভাগ প্যারাবনসহ যে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তুলেছিল, তার বেশির ভাগই অবজ্ঞা, অবহেলা আর তদারকহীনতায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ভয়াল দুর্যোগের থাবা থেকে জানমাল রক্ষায় উপকূলীয় জনপদে নির্মিত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও দীর্ঘ সংস্কারহীনতায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অরক্ষিত উপকূলীয় এলাকার ৪ কোটি মানুষ আছে চরম ঝুঁকিতে, সীমাহীন আতঙ্কে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, সুপার সাইক্লোন সিডরে উপকূলীয় ৩০ জেলার ২ হাজার ৩৪১ কিলোমিটার বাঁধ বিধ্বস্ত হয়। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিলীন হয় ৩৯১ কিলোমিটার।
১ হাজার ৯৫০ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাউবো দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে মেরামত ও সংস্কার করলেও পূর্ণিমার সামান্য জোয়ারেই এসব বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে জনপদে। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে ধ্বংসপ্রাপ্ত বেড়িবাঁধগুলো বছরের পর বছর মেরামতহীন থাকাসহ পর্যাপ্ত আশ্রয় কেন্দ্রের অভাবে অরক্ষিত উপকূলীয় বাসিন্দাদের জীবন কাটে সীমাহীন ঝুঁকিতে। পিছিয়ে থাকা এ জনপদ ও বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে না কোনোভাবেই। উপকূলীয় বাসিন্দাদের সুরক্ষিত রাখতে সরকার শত শত কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও তাদের ঝুঁকিমুক্ত জীবন নিশ্চিত হচ্ছে না কোনোভাবেই।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের ১৯ জেলার ১৪৭ উপজেলার ১৩ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা উপকূলীয় অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ উপকূলীয় এ জনপদে বসবাস করেন প্রায় ৪ কোটি মানুষ। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসে সম্পূর্ণ অরক্ষিত অবস্থায় জীবনধারণে বাধ্য হন তারা। প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসংখ্য মানুষ তাদের বসতভিটা ও কৃষিজমি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হন। ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস বারবার আঘাত হানার কারণে সড়ক অবকাঠামো, বসতবাড়ি, কৃষিজমি বিনষ্ট হয়। অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে এসব জমির উর্বরতাশক্তিও হারিয়ে যায়। ফলে ফসল উৎপাদনও হ্রাস পায়। সরকারি-বেসরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধাই তাদের কাছে প্রত্যাশিত হারে এবং সময়মতো পৌঁছায় না।
প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড়ের পর ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী দেশের ৩৩ উপজেলাকে সাগর-সংলগ্ন বিপৎসংকুল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সরকার। এসব উপজেলায় পরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম না হওয়ায় ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন এখনো। ঘূর্ণিদুর্গত এলাকাসমূহে এখনো নির্মিত হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার। বেড়িবাঁধগুলোও পুরোপুরি মেরামত বা সংস্কার করা হয়নি বছরের পর বছর ধরে। ফলে এখনো উপকূলবাসী অরক্ষিত ও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
সরকারি-বেসরকারি কর্মসূচি উপকূলের মানুষের ঝুঁকি এখনো কমাতে পারছে না বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। মূল ভূখন্ড ও উপকূলীয় অঞ্চলের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে সব সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়। সরকার গত কয়েক বছরে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বেশ কিছু আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ক্লাইমেট চেঞ্জ সেল এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গৃহীত নানা কার্যক্রমও পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগ ও মানুষের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রশংসনীয় বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নেরও খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বিদেশি সাহায্য সংস্থার অর্থায়নে উপকূলীয় এলাকার দুর্যোগঝুঁকি হ্রাস, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি হ্রাস এবং সমাজভিত্তিক জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষের ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি উন্নয়ন এবং বনায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এত কিছুর পরও যথাযথ পরিকল্পনার অভাবে অরক্ষিতই থেকে যাচ্ছেন উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা।
উপকূলীয় জনপদ রক্ষাসহ অধিবাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতি বছরই কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের আওতায় বিশেষ বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থও বরাদ্দ হয়। এর বাইরে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি হ্রাসের নানা কর্মকান্ডেও অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয় অকৃপণভাবেই। কিন্তু সেসব অর্থ যথাযথ কাজে ব্যবহারের পরিবর্তে লুটপাটই হয় বেশি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ষাটের দশকে নির্মিত উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধের বেশির ভাগই এখন নাজুক হয়ে পড়েছে। নামে মাত্র থাকা উপকূলের বেড়িবাঁধ সংস্কার ও মেরামতের নামে প্রতি বছর চলে সীমাহীন দুর্নীতি, সরকারি অর্থের বেশুমার লুটপাট। ঠিকাদার, প্রকৌশলী আর ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বরাদ্দের অর্থ ভাগাভাগি করে নেওয়ার কারণেই উপকূলে নামকাওয়াস্তে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার হয়। সামান্য জোয়ারেই সেসব বেড়িবাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয় প্রতি বছর। দুই বছর আগের ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে মাইলের পর মাইল বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে তালিয়ে যায় ফসলি জমি, বহু জনবসতি। এর পর থেকেই ঝুঁকির মধ্যেই বসবাস করছেন বরগুনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও খুলনা উপকূলের লাখ লাখ মানুষ। সিডরের ১৮ বছর পরও দক্ষিণাঞ্চলের বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার হয়নি। সামান্য জোয়ারের পানিও অবলীলায় ঢুকে পড়ছে ফসলি জমিতে, নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে। মিঠাপানির উৎসও ধ্বংস হয়ে আছে। সিডর-কবলিত শরণখোলা, মঠবাড়িয়া, পাথরঘাটা, বরগুনা, তালতলী, কলাপাড়া, গলাচিপা, চরখালীসহ অন্যান্য এলাকার বহু মানুষ এখনো পাননি মাথা গোঁজার ঠাঁই। তারা এখনো বেড়িবাঁধের ওপরই শণ, বন, পলিথিনের ডেরা তুলে মানবেতর জীবন যাপন করে চলছেন। জেলেদের অবস্থা আরও করুণ। সূত্রমতে, উপকূলীয় অঞ্চলের অধিকাংশ বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন উপকূলবাসী। ঘুমের মধ্যেও তারা আঁতকে ওঠেন এই বুঝি বাঁধ ভেঙে গেল! বেড়িবাঁধের কোথাও কোথাও মাত্র দুই থেকে তিন ফুট চওড়া মাটির বাঁধ রয়েছে। বাঁধের অনেক জায়গা দিয়ে চুইয়ে পানি প্রবেশ করছে লোকালয়ে। যে কোনো সময় জীর্ণশীর্ণ বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে প্লাবিত হতে পারে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আর সে আশঙ্কা নিয়েই দুর্যোগের মুহুর্তে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন খুলনার কয়রা, দাকোপ, পাইকগাছা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি ও বাগেরহাট উপকূলের লাখ লাখ মানুষ।
উপকূলীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই। বেড়িবাঁধ ভেঙে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পরই তাদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়। এর আগে তারা কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয় না। সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নাকনা, হরিষখালী, কোলা, শ্রীপুর, মণিপুর, খাজরা বাজার ও গদাইপুর পয়েন্টে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ দুর্বল হয়ে পড়েছে। ভাঙন ধরেছে খোলপেটুয়া নদীর কাঁকড়াবুনিয়া, থানাঘাটা, নছিমাবাদ, জেলেখালী দয়ারঘাট, বলাবাড়িয়া, বিছট ও কাকবাসিয়া পয়েন্টে। শ্যামনগর উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় বেশি নাজুক অবস্থায় রয়েছে নাপিতখালী, গাগড়ামারী, লেবুবুনিয়া, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বন্যতলা, কামালকাটি, চাউলখোলা, মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ কদমতলা ও সিংহরতলী চন্দ্রদ্বীপ ও পাতাখালী পয়েন্ট।
১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলে সংঘটিত প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে মহেশখালীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সে সময় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ, আশ্রয় কেন্দ্র, নড়বড়ে হওয়া সরকারি নানা অবকাঠামো ৩০ বছর ধরেই মেরামতহীন অবস্থায় রয়েছে। টেকসই বেড়িবাঁধের অভাবে মাতারবাড়ী রক্ষা করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো মুহুর্তে উত্তর রাজঘাট ও ষাইটপাড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা সাগরগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। মাতারবাড়ী ইউনিয়নে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের ফলে পানি চলাচলের জন্য নির্মিত সব স্লুইস গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ স্লুইস গেটগুলোই এখন আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মাতারবাড়ীর মানুষের। মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, বাঁধ মেরামত না হওয়ায় আতঙ্কে কাটছে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের দিন। দুর্যোগের কবল থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে হলে বাজার রক্ষাবাঁধ ও ভারতঘোনা বাঁধের ভাঙা অংশ মেরামত করা খুবই জরুরি। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডসূত্র জানিয়েছেন, ধলঘাটার চারদিকে আরও ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। বেড়িবাঁধ নির্মাণের টেন্ডার হলেও ঠিকাদার কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করায় কাজ হচ্ছে না।
উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি
বলেন, উপকূলের বিভিন্ন বাঁধের অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাঁধগুলো আরও উঁচু ও টেকসই করে তৈরি করতে হবে। বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মনিটরিং টিম গঠন দরকার। একদিকে বাঁধ তৈরি হয়, অন্যদিকে ভেঙে যায়। বাঁধের টাকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগও আছে।
বাঁধ সংরক্ষণে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মনিটরিং বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ের দক্ষিণ অঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা এই প্রতিবেদককে বলেন, উপকূলীয় বাঁধগুলো আরসিসি ঢালাই করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এতে বাঁধ নিয়ে অনিয়ম কমবে এবং বাঁধ টেকসইও হবে। এতে শুধু ঘূর্ণিঝড় নয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়লেও উপকূল রক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, উপকূলের মানুষ এখন ত্রাণ চান না, স্থায়ী বেড়িবাঁধ চান। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ কুমার সাহা আর জানিয়েছেন, উপকূলীয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি, খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতটি পোল্ডারের আওতাধীন বেড়িবাঁধ নির্মাণে ১২ হাজার ৯ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে উপকূলীয় বিরাট জনপদের লাখ লাখ মানুষ সুরক্ষিত হবেন। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৃশ্যমান ভেড়িবাদের কাজ শুরু করা হয়েছে। সেখানে এক হাজার চল্লিশ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি মেগা প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরো বলেন খুলনা অঞ্চলের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সকল অরক্ষিত ভেড়িবাদের পুনর নির্মাণ করার জন্য নকশা করে মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন পেলে উপকূলীয় অঞ্চলের সকল ভেড়িবাদের টেকসই মজবুত ভেরি বাদ নির্মাণ করা হবে।
Leave a Reply