1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
ত্রিভুজ প্রেমে হত্যার শিকার মাফিজুল! হত্যার ২২ মাস পরে লাশ উদ্ধার! - দৈনিক আমার সময়

ত্রিভুজ প্রেমে হত্যার শিকার মাফিজুল! হত্যার ২২ মাস পরে লাশ উদ্ধার!

আমার সময় অনলাইন
    প্রকাশিত : রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪
নাটোরের গুরুদাসপুরে ২০ মাস পর পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন হওয়া মাফিজুল ইসলাম (২৮) হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ তথ্য জানায় পুলিশ।
নিহত মাফিজুল গুরুদাসপুর পৌরশহরের চাঁচকৈড় খলিফা পাড়া মহল্লার আজাদ প্রামাণিকের ছেলে। আর তানজিলা (৩৫) চাঁচকৈড় পুড়ান পাড়ার বাসিন্দা। এর আগে, মাফিজুলকে খুন করে নির্মাণাধীন একটি বালিকা দাখিল মাদ্রাসার মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়। লাশ উত্তোলনে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। ওই ঘটনায় গত শুক্রবার নিহত মাফিজুলের মা মাহিরন বেগম বাদী হয়ে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় চারজনসহ আজ্ঞাতনামা আরো কজনের নামে মামলা করেন। শুক্রবার রাতেই পুলিশ নিহত মাফিজুলের পরকীয়া প্রেমিকা গৃহবধু তানজিলা, তানজিলার স্বামী আল্ হাবিব (৪০) মাদ্রাসার নৈশ্য প্রহরী পিতা আবু তাহেরকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে।
একই ঘটনায় শনিবার সকালে সিলেটগামী যাত্রীবাহী বাস থেকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু এলাকা থেকে তানজিলার প্রথম প্রেমিক আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৫ এর একটি দল। আশরাফুল খামার নাচকৈড় মহল্লার বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ১৫ বছর আগে সম্পত্তির লোভে গৃহবধূ তানজিলা ও তার স্বামী আল্ হাবিব মিলে ছোট ভাই সবুজকে (১০) খুন করে। সে মামলার তানজিলা জামিনে বের হয়ে আশরাফুলের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে। বেশ কবছর পর জামিন বের হন হাবিবও।
তানজিলা একটি বেকারীতে শ্রমিকের কাজ করার সুবাদে নিহত মাফিজুলের সাথে ত্রিভুজ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে হাবিব ও তানজিলার মধ্যে পারিবারিক কলোহ দেখা দেয়। এ ঘটনায় ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল গভীর রাতে তানজিলা মাফিজুলকে তার বাবা আবু তাহেরের বাসায় ডেকে নেয়। এ সময় র্পূপরিকল্পিতভাবে মাফিজুলকে তানজিলা, আশরাফুল ও আল হাবিব মিলে খুন করে নির্মাণাধীন মাদ্রাসার মেঝেতে পুঁতে রাখে।
মাফিজুলকে পাওয়া না গেলে ওই পরিবারের পক্ষ থেকে গুরুদাসপুর থানায় গত বছর ৭ মে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। এরমধ্যে তানজিলা ও তার স্বামী আল হাবিবের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ দেখা দিলে তানজিলাকে ডিভোর্স দেন হাবিব। তানজিলা হাবিবকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে সে মামলায় আটক হন হাবিব।
ঘটনাচক্রে জেলা খানায় নিহত মাফিজুলের গ্রামের জনৈক জাকির মুন্সির সঙ্গে আল হাবিবের বন্ধুত্ব গড়ে উঠলে তিনি জাকিরের কাছে খুনের ঘটনা জানান। জাকির জামিনে বের হয়ে নিহত মাফিজুলের পরিবারের কাছে ঘটনা বর্ণনা করলে হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়। মামলার বাদী মাহিনুর বেগম বলেন, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। খুনিদের বিচার দাবি করেন তিনি।
কাউন্সিলর শেখ ফরিদ জানান, ত্রিভুজ প্রেমের কারণেই পরিকল্পিতভাবে খুন হয় মাফিজুল। তিনি দোষীদের শাস্তি দাবি করেন।
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিংড়া-গুরুদাসপুর সার্কেল) আখতারুজ্জামান বলেন, মামলার দ্রুতসময়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  আদালতের আদেশে লাশ উত্তোলনের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে, বিশেষ কিছু জানানো যাচ্ছে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com