ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নের চংনাপাড়া বাজার সংলগ্ন রাংসা নদীর উপর নবনির্মিত সেতুর বিকল্প রাস্তাটি ভারী বর্ষণে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ধসে পড়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ৩টি উপজেলার কয়েক লাখ মানুষের। তারাকান্দা হতে শ্যামগঞ্জ পাকা রাস্তা উপর পুরাতন সেতুটি ভেঙে নতুন সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩০ মে) বেলা ৩টার দিকে ভাঙন শুরু হয়ে রাতের বেলা বিকল্প রাস্তাটি ধসে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গতবছর শুরু হওয়া চংনাপাড়া বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাংসা নদীর উপর পুরাতন সেতুটি ভেঙে নতুন সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে। তাই বিকল্প রাস্তাটি তৈরী করা হয়েছিল। তারাকান্দা,গৌরীপুর ও পূর্বধলা উপজেলার লাখো মানুষ হাজারো যানবাহন মালামাল নিয়ে প্রতিদিন এই বিকল্প রাস্তাটি ব্যবহার করে যাতায়াত করতেন। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সবাই বাড়িতে আসবে, বিভিন্ন বাজারে মালামাল পরিবহনে ও যাত্রী সাধারণ এজন্য অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হবে। বিশেষ করে মৎস্য চাষিরা পড়েছে দুর্বিপাকে, কারণ প্রতিদিন শতশত টন মাছ এ রাস্তা দিয়ে তারাকান্দা আড়ৎ এ নেওয়া হয়ে থাকে। তারাকান্দা হতে শ্যামগঞ্জ পাকা রাস্তার এই ব্রীজটি নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার জন্য এলাকাবাসী সহ প্রশাসনে পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া স্বত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফেলতির কারণে গতবারের ন্যায় এ বৎসরও চরম দূর্ভোগ পোহাতে হবে বলে জানান চংনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিরাশ উদ্দিন। হরিয়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফ উদ্দিন বলেন,অবিলম্বে ঈদে ঘরেফেরা মানুষকে স্বস্তি দিতে যানবাহন চলাচলের সুবিধা ও মালামাল পরিবহন এর জন্য এখানে একটি স্টীলের বেইলি ব্রীজ অস্থায়ী ভাবে নির্মাণ করা জরুরী জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবেন। কাপড় ব্যবসায়ী ইসলাম উদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন,একই রাংসা নদীর উপর মানিকদীর ব্রীজের কাজ একই সময়ে শুরু হয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য খোলে দিলেও আমাদের ব্রীজের কাজ মন্থরগতিতে চলছে,যা দুঃখজনক।
এ বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, অতিমাত্রায় টানা বর্ষণে নদীতে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে যাওয়ার কারণে বিকল্প রাস্তাটি ভেঙে গেছে। আর ব্রীজের মূল কাঠামোর সকল কাজ শেষ পর্য়ায়ে আছে, এখন শুধুমাত্র সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হলেই ব্রীজটি খোলে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসাইন কে বিকল্প রাস্তাটি বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান,ঈদে ঘরমুখো মানুষ তথা জনসাধারণের ভোগান্তি নিরসনে যা করা দরকার তা উপজেলা প্রকৌশলী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সাথে আলোচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর দাবী আসন্ন বর্ষা মৌসুমে পানি আরো বাড়বে তাই ভেঙে যাওয়া বিকল্প রাস্তাটিতে নিরাপদে যানবাহন সহ জনসাধারণের নিরাপদ চলাচলের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হউক।
Leave a Reply