মোতাহার হোসেন তালুকদারের আমন্ত্রণে গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে রক্তচুষা গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট হাসিনা ইয়াজিদের বংশধর সরকারের পতনের পর নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ নিয়ে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ,সাংবাদিকদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে সত্যকথা বলা সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছে, গুম করা হয়েছে, মামলা- হামলা করা হয়েছে, ভয়ানকভাবে ভয়বিতি দেখানো হয়েছে, নিজ দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করা হযেছে এমনি কি ফেসবুকে তাদের স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করতে দেয় নি । সাংবাদিকরা সেদিন স্বাধীনমত প্রকাশের সুযোগ পায় নি। আজ সকল সাংবাদিক স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করতে পারছে সে সুযোগ আমরা করে দিয়েছি।
এসময় তিনি আরো বলেন, আমরা আপনারদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আমাদের পাশে থেকে দেশের কল্যাণমুখী কাজে বিএনপিকে সহযোগিতা করার জন্য, বিএনপি সব সময় সোচ্ছার রয়েছে যে কোন অন্যায়-অবিচার দূর্নীতির প্রতি। আর আপনারা সেটা ধরিয়ে দিবেন কারণ বিএনপি ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠন কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ অন্যায়-অবিচার ও দূর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না। কখনো দেয় নি।
এ সময় তিনি সংবাদকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরোও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশ নায়ক তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশে গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন, তার বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি ।
৫ ই আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশকে শান্তিপূর্ণ রাখতে সর্বস্তরে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই নির্দেশ মোতাবেক দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি।
এ সময় তারাকান্দার সাংবাদিক সমাজকে তাদের লেখনীর মাধ্যমে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান বেশ জোড়ালো ভাবে। দেশ ও জনকল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন এই প্রত্যাশা তিনি বারবার কামনা করেন সাংবাদিকদের কাছে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকার কাছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কর্তৃক ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা ও তার দোসরদের বিচারের দাবী জানান।
তিনি বলেন বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ জিয়াউর রহমানের ছেলে তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমান দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে, সেদিন সকল অন্যায়-অবিচার দূর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বিএনপি।
আমাদের তারাকান্দা-ফুলপুরের অনেক ছেলে আহত হয়েছে, পঙ্গুত্ব বরণ করছে, পঙ্গু হয়ে আজও হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমরা তাদের সকল ধরণের সাহায্য সহযোগীতা করছি, হাসপাতালে গিয়ে বারবার খুজখবর নিচ্ছি। তাদের ঋণ আমরা কখনো সুদ করতে পারবো না। তাদের মাঝে আজ এখানে একজন আছেন তার নাম নুরুল ইসলাম, বাড়ি ফুলপুর। তিনি ৪নং গালাগাঁ ইউনিয়নের মাইলুড়া গ্রামের সোহেল মিয়ার কথা বলেছেন। যে কিনা এখনো ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে আছেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অতীতের কিছু দিক তুলে ধরেন এবং দেশের কল্যাণে সকলেকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম তালুকদার, উপজেলা বিএনপির সদস্য কাজী আব্দুল বাতেন, শামিম তালুকদার,রাসেল মড়ল ,ইবনে কাশেম মাষ্টার,রফিকুল ইসলাম মাষ্টার, , যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আসাদুল হক মন্ডল,তারাকান্দা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আলমগীর হোসেন রকি,গালাগাও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইয়াছিন আলী মেম্বার সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
Leave a Reply