কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে সাগরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে এমন সৌভাগ্যের মুহূর্ত খুব কমই আসে, যখন এক জালে প্রায় এক হাজার মাছ ধরা পড়ে বুধবার বিকালে শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে মাছভর্তি ট্রলার পৌঁছানোর পরপরই তা দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা ও পর্যটকরা।
ট্রলার মালিক আবদুল গফুর আলম জানান, তার মালিকানাধীন এফবি গফুর ট্রলারের মাঝি-মাল্লারা মঙ্গলবার বিকালে সেন্ট মার্টিনের কাছে মাছ ধরতে যান। গভীর রাতে জাল ফেলেন, আর ভোরে যখন তা তুলতে যান, তখনই দেখা যায়, জালে আটকা পড়েছে ৯১০টি চাপা সুরমা মাছ। এত বেশি মাছ একসঙ্গে পেয়ে তারা আর দেরি না করে ঘাটে ফিরে আসেন।
গফুর আলম জানান, ধরা পড়া মাছের মধ্যে ছোটগুলোর ওজন দেড় থেকে দুই কেজি, আর ৫০টির বেশি বড় মাছের ওজন ৬-৮ কেজির মতো। সব মিলিয়ে ১,৬৫০ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হয়েছে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকায়।
মৎস্যব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম বলেন, “এখন পর্যটন মৌসুম চলছে, তাই হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে মাছের চাহিদা বেশি। এই মাছগুলো বরফ দিয়ে সংরক্ষণ করে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।”
টেকনাফের জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, “সাগরের যে এলাকায় প্রবাল রয়েছে, সেখানে চাপা সুরমা মাছ বেশি পাওয়া যায়। সরকার প্রতিবছর ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়, যার ফলে মাছের সংখ্যা ও আকৃতি বেড়েছে।”
জেলেদের মতে, এই ধরনের ভাগ্য সহসাই আসে না। এত মাছ একসঙ্গে পেয়ে তারা খুশি, আর ব্যবসায়ীরাও সন্তুষ্ট, কারণ পর্যটন মৌসুমে এর বাজারদর বেশ ভালো।
Leave a Reply