লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, সদস্য সচিব আবদুল আলিম হুমায়ুন ও যুগ্ম-আহ্বায়ক সৈয়দ রশীদুল হাসান লিংকন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে যুবদল নেতারা বলেন, যদি যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয় কেউ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে লিপ্ত হয় সেই দায়ভার জেলা যুবদল নিবে। কিন্তু বহিস্কৃত কিংবা অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীর দায়ভার যুবদলের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবেনা।

তারা অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আনোয়ার সম্রাট কে ১০ বছর আগেই যুবদল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। পরে সে স্থানীয় আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী আলমগীর মেম্বারের সহযোগী ছিলো।

বক্তারা আরও বলেন, গত ১৫ ও ১৬ মার্চ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়েছে ‘লক্ষ্মীপুরে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজের ঠিকাদার থেকে চাঁদা না পেয়ে ৬ শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা আনোয়ার সম্রাটের বিরুদ্ধে’।

বাস্তবিক অর্থে আনোয়ার হোসেন সম্রাটকে ১০ বছর আগেই শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যুবদল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি যুবদলের কেউ নয়।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন বলেন, লক্ষ্মীপুরে চিহ্নিত ভূমিদস্যু যুবদল নেতা সালাহ্ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম গঠন করা হবে।

সালাহ্ উদ্দিন সদর উপজেলার চর রহমনী মোহন ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার কৃষকদের ফসল ও মানুষের জমি জোরপূর্বক দখল করে আসছে তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে। সালাহ্ উদ্দিনের ভয়ে চরঅঞ্চলের মানুষ চাপা আতঙ্কে জীবনযাপন করে।