লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নবগঠিত এডহক কমিটি প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সর্বস্তরের ক্রীড়ানুরাগী, সাবেক খেলোয়াড় ও দক্ষ সংগঠকদের অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় কমিটি গঠনের দাবি জানানে হয়েছে।
আজ রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে ক্লাব সমিতি, সাবেক খেলোয়ারবৃন্দ, আম্পায়ার, স্কোরার, রেফারি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সদস্যগণের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়েছে।
এ সময় বক্তব্য রাখেন- জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের অফিস সম্পাদক সোহেল আদনান, এলিট ক্রীড়া চক্রের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন রতন, আইডিয়াল স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি আরিফ মাহমুদ কাজল, হাসপাতাল রোড ক্রীড়া সংঘের সাধারণ সম্পাদক আবুল বারাকাত সৌরভ, কলেজ রোড ক্রীড়া সংঘের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামসহ বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যরা।
সোহেল আদনান বলেন, ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে ক্রীড়ানুরাগী ও সাবেক খেলোয়াড়সহ দক্ষ সংগঠকরা থাকবে। কিন্তু অচেনা লোকদের দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাদের সঙ্গে মাঠের কোন সম্পর্ক নেই। এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। তা না হলে খেলাধুলা বন্ধ করে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
তোফাজ্জল হোসেন রতন ও আরিফ মাহমুদ কাজল বলেন, টেবিলের নিচ থেকে একটি কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে জড়িত ও দক্ষ সংগঠকদের স্থান দেওয়া হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কমিটি পরিবর্তন করতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনের দক্ষ সংগঠক ও সাবেক খেলোয়ারদের সদস্য করে কমিটি গঠন করতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা (অঃদাঃ) মাঈন উদ্দিন মিলকি বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে লক্ষ্মীপুরে নিযুক্ত হই। জেলা প্রশাসন থেকে একটি প্রস্তাবনা দিতে হয় কমিটির জন্য। আগের কর্মকর্তারা কমিটির প্রস্তাবনা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
উল্লেখ্য,, গত ২৮ মার্চ লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন এডহক কমিটির ঘোষণা করা হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব (যুগ্মসচিব) আমিনুল ইসলাম এনডিসি স্বাক্ষরিত কমিটিতে পদাধিকার ক্ষমতাবলে জেলা প্রশাসককে আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করা হয়। এছাড়া নাসির উদ্দিন হাওলাদার, আবদুল মোতালেব জুয়েল, দেলোয়ার হোসেন, এনামুল আহসান রুবেল, জয়নাল আবেদীন, শাহেদুর রহমান রাফি ও আ হ ম মোস্তাকুর রহমানকে সদস্য মনোনীত করা হয়েছে।
Leave a Reply