জামালপুরে যমুনা নদীর পানি হ্রাস পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে।পানি হ্রাস পেলেও এখনও কমেনি দূর্ভোগ। সংকট রয়েছে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি ও গো খাদ্যদের। বন্যা পরর্বতী সময়ে এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে স্থানীয়রা হতাশায় রয়েছেন। তবে বন্যা পরবর্তী সময়ে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
ফুটেজ : জামালপুরে যমুনা নদীর পানি হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য নদ নদীর পানি। যমুনা নদীর পানি হ্রাস পেলেও এ জেলায় এখনও প্রায় ৩ হাজার হেক্টর রোপা আমন ধান নিমজ্জিত হয়ে আছে। ইতিমধ্যেই দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার একটি আশ্রয়ন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন যায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা কবলিতরা। বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ।
জেলা ১৭টি ইউনিয়নের ৪৫ হাজার মানুষ এখনও পানি বন্দি রয়েছে। ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান বন্ধসহ শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি, গো খাদ্য, শিশু খাবারের সংকট রয়েছে। পানিবাহীত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে এসব এলাকার লোকজন। তবে বন্যার পানি হ্রাস পাওয়াই কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কবলিতদের মাঝে।
দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানি এলাকার সালাম,আনোয়ার ও মনিরুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি আজকে কিছুটা কমাতে স্বস্তি পেয়েছি। তবে আমাদের আবাদ ফসল সবই শেষ। বন্যা পরর্বতী সময়ে সরকারের নিকট স্বার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন তারা।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমসহ বন্যা পরবর্তী সময়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার হবে বলে জানান তিনি।
সরকারি ভাবে সার্বিক সহযোগিতাসহ স্থায়ী সমাধানই কামনা বন্যা কবলিত এই অঞ্চলবাসীর।
Leave a Reply