1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
জাজিরায় প্রতারণার অভিযোগে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন - দৈনিক আমার সময়

জাজিরায় প্রতারণার অভিযোগে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

মো. ফারুক হোসেন, জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুর  
    প্রকাশিত : রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
শরীয়তপুর জাজিরায় এক জমি দুই জায়গায় বিক্রি করে দলিল করার অভিযোগ উঠেছে মিজান মাঝি নামের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে মিজান মাঝি নামের ওই ইউপি সদস্যের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে, প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সহ এলাকাবাসী।
রোববার (১০-নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার বিকেনগর ইউনিয়নের দৈনিক বাজার নামক এলাকায় প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, জমি বিক্রির নামে প্রতারণা করে বারো লাখ টাকা আত্মসাৎ করে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে প্রতারক ওই ইউপি সদস্য। স্থানীয়রা শালিস বৈঠকের আয়োজন করলেও উপস্থিত থাকেন না মিজান মাঝি।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানাযায়, গত ৭ বছর আগে স্থানীয় নূরা মাঝি নামে এক ব্যাক্তির থেকে ৯৮-নং বিকে নগর মৌজার ১৬.৬০ শতাংশ জমি ক্রয় মূলে মালিক হন প্রতারক মিজান মাঝি। জমি কেনার পর নিজের নামে নাম জারী করে পরের বছরই তার ছেলে-মেয়েদের নামে সাব কবলা দলিল করে দেন মিজান মাঝি। সন্তানদের নামে দলিল করলেও সন্তানদের নামে নাম জারী করাননি তিনি।নিজের নামে জমির খাজনা ও কাগজপত্র দেখিয়ে চলতি বছরে ফুলমতি নামে আরেকজনের কাছে বারো লাখ টাকায় একই জমি বিক্রি করে প্রতারক ইউপি সদস্য মিজান।
জমি কিনে স্থানীয় ভূমি অফিসে নাম জারীর আবেদন করতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন জানান এই জমির মালিক মিজান মাঝি না। জমির মালিক মূলত মিজানের সন্তানেরা।
ভুক্তভোগী ঘটনা জানতে পেরে রেকর্ড রুমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আরও ৪’বছর আগেই সন্তানদের নামে ওই জমি দলিল করে দিয়েছেন প্রতারক মিজান। ঘটনা জানার পর মিজান মাঝির বাড়িতে গেয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করা হলে, প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করে এবং পরবর্তীতে সমাধানের নাম করে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে।
এদিকে প্রতারক মিজান ভুক্তভোগীসহ স্থানীয় শালিসদের কথা না শোনায় ভুক্তভোগী ফুলমতি বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেছেন (সিআর মামলা নং- ৩১৩/২০২৪)। সর্বশেষ প্রতারক মিজান মাঝির বিচারের দাবীতে দৈনিক বাজারে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী সহ স্থানীয়রা।
বিকেনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইস্কান্দার আলী ভূঁইয়া বলেন, মিজান মাঝির একজন অসহায় ব্যক্তির সাথে এমন প্রতারণা করা ঠিক হয়নি। আমি বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু উভয়পক্ষকে মানাতে পারিনি। এখন যেহেতু বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে, তাই আদালতের রায়ের অপেক্ষায় আছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com