বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল রয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জোয়ারের সাথে সাগরে বাড়তে শুরু করেছে ঢেউয়ের তীব্রতা। বিশাল বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। আকাশও রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলে সমুদ্রের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে সতর্কতা মূলক লাল পতাকা টাঙানো হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের বীচে না নামতে নিরুৎসাহিত করছে লাইফ গার্ডের কর্মীরা।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, গতকাল রাত থেকে জেলার সব সাইক্লোন শেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে।ইতোমধ্যে লোকজনকে আশ্রয়ণকেন্দ্রগুলোতে নিয়ে আসা হয়েছে।
আজ সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারের নাজিরারটেক, সমিতিপাড়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, সোনাদিয়া, ঘটিভাঙ্গা ও কুতুবজোম, টেকনাফের বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনদ্বীপের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৮ হাজার ৬ শ’ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২ শ সিপিপি সদস্যসহ রেড ক্রিসেন্টের ১৮০ ভলান্টিয়ার প্রস্তুত রয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সাথে যোগাযোগ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা। এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
Leave a Reply