গাজীপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অঙ্গনে জিয়াউল করিম মোড়ল রিফাত একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কর্মপ্রবাহ, নেতৃত্ব, এবং আত্মত্যাগ তাকে শুধু গাজীপুর নয়, বরং পুরো ছাত্রদলের মাঝে এক অসাধারণ উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
২০০৯ সালে যখন ছাত্র রাজনীতিতে রিফাত মোড়ল তার পিতা শামীম মোড়লের হাত ধরে ছাত্রদলে যুক্ত হন, তখন থেকেই তার সংগ্রামী যাত্রা শুরু হয়। সেই সময় তিনি সরাসরি বৈষম্যের শিকার হন। ২০০৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়নি। তৎকালীন একজন আওয়ামী প্রভাবশালী এমপির পিএস রিফাতের বাবার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পথ রুদ্ধ করেন।
তবে এই প্রতিকূলতা তাকে থামাতে পারেনি। নিজের অধিকার আদায়ের জন্য তিনি ছাত্র রাজনীতিতে আরও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। গত ১৯ জুলাই ২০২৪ সালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে তিনি গাজীপুর পার্টি অফিসের সামনে সৈরাচারদের দ্বারা আক্রমণের শিকার হন।আহত অবস্থায় হাসপাতালে ছিলেন বেশ কয়েকদিন। এমনকি একই বছরের ২৮ জুলাই পল্টন এবং কাকরাইলে আন্দোলনে পুনরায় আহত হন। তার এই ত্যাগ তাকে গাজীপুরের মানুষের কাছে একজন সাহসী ও সংগ্রামী নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।
সারাদেশে বিএনপি’র রাজনীতি যখন কোণঠাসা ঠিক সেই সময় অর্থাৎ ২০১১ সালে শ্রীপুরের পেয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়াকালীন তিনি ছাত্র রাজনীতিতে জোরালো ভাবে সক্রিয় ছিলেন। ছাত্রদলের প্রতিটি স্তরে তার নিরলস কাজের ফলে গাজীপুরের বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষ একত্রিত হয়। তিনি দেখিয়েছেন, সঠিক নেতৃত্ব ও সংগঠন দক্ষতা দিয়ে ভাঙনের মুখে থাকা একটি দলকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব।
গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রিফাত মোড়ল শুধু একটি নাম নয়, বরং একটি প্রতীক। তার নেতৃত্বে হাজারো ছাত্রদল কর্মী আজ ঐক্যবদ্ধ। শ্রীপুর ও গাজীপুরে তার সাহসিকতার গল্প আজও মুখে মুখে প্রচলিত। বিগত অগণতান্ত্রিক শাসনামলে তার বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার পরিমাণ এত বেশি ছিল যে সাধারণ জনগণের কাছে তিনি সাহসিকতার প্রতিমূর্তি হয়ে উঠেছিলেন।
ছাত্রদলের কর্মীরা বলেন, “রিফাত ভাই শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তার সাহস ও ত্যাগ আমাদের সংগঠনের চালিকাশক্তি।”
এই তরুণ নেতা তার সংগ্রামের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, সাহস, ত্যাগ, ও নেতৃত্ব দিয়ে একটি প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব। তার কর্মজীবনের প্রতিটি অধ্যায় ভবিষ্যৎ ছাত্রনেতাদের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
ছাত্রদলের কর্মীরা আশাবাদী যে রিফাত মোড়লের নেতৃত্বে গাজীপুর ছাত্রদল আরও শক্তিশালী হবে। তার দুরদর্শী নেতৃত্ব শুধু গাজীপুর নয়, বরং সারা দেশের ছাত্রদলকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি তার কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, সঠিক নেতৃত্বই একটি সংগঠনকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার মূল চাবিকাঠি। গাজীপুরের ছাত্রদলের ঐক্য ও শক্তিশালী অবস্থান তার অবদানের ফল।
রিফাত মোড়লের জীবন ও সংগ্রামের গল্প জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিটি কর্মীর জন্য এক অনুপ্রেরণার নাম। ছাত্রসমাজের জন্য তার অবদান অমূল্য এবং ভবিষ্যতেও তার নাম স্থানীয় ছাত্র রাজনীতির ইতিহাসে লেখা থাকবে।
Leave a Reply