•শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধের অপপ্রয়াস চালিয়েছিলো
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনাকে গ্রেফতারের মধ্যদিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেদিন শেখ হাসিনা আদালতের গেইটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
গ্রেফতার পূর্ব মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান। এরপর আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপোষহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। মুক্তির মাধ্যমে টানা তিন মেয়াদে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আজ বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর করেছেন জাতির জনকের কন্যা। সেই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবারও নৌকার জন্য ভোট চান মেয়র মুজিবুর রহমান ।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারান্তরিন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু বাজারে খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খুরুশকুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি মোঃ রফিক উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট রনজিত দাশ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল আজিম কনক, খুরুশকুল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, মো. মহিদুল্লাহ, মির্জা ওবাইদ রুমেল, অধ্যাপিকা রোমানা আক্তার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সাংবাদিক দিদারুল আলম সিকদার, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক আলিম উদ্দিন আলিম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান সিকদার, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক রমজান আলী জিতু, খুরুশকুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রায় মেয়র মুজিবুর রহমানকে বরণ করে নেন স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা। মেয়র মুজিবুর রহমান এর আগমনকে ঘীরে খুরুশকুল ইউনিয়নর বিভিন্ন পয়েন্ট ৩০ টি তোরণ নির্মাণ করে মেয়র মুজিবকে স্বাগতম জানান- পরে সভাস্থলে পৌঁছলে ফুলেল শুভেচ্ছায় তাকে বরণ করে নেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।। সভা শেষে মেয়র মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু বাজার এলাকা পরিদর্শন করেন বাজারে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
Leave a Reply