গতকাল ১১ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে বিত্তিপাড়া দুই গ্রুপের কর্মী সিরাজ উদ্দিনের ছেলে রশিদের সাথে একই গ্রামের মৃত ছামসদ্দীন মন্ডলের ছেলে জামালের সাথে বিত্তিপাড়া মাংসের বাজারে বাকবিতন্ডা শুরু হয় যা এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে রুপ নেয়, তবে আশেপাশে থাকা লোকজনের বাঁধায় তা সেখানে থেমে যায়। পরবর্তীতে রশিদ জামালকে দেখে নেওয়ার কথা বলে সেখান থেকে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, বিত্তিপাড়া গ্রামে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ অনেক পুরনো। একপক্ষে নেতৃত্ব দেন উজানগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বাক্কার সিদ্দীক এবং অপরপক্ষে বিত্তিপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেন মেম্বার।
গ্রামের ঈদগাহ কমিটি নিয়ে এই দুপক্ষের মতানৈক্য চলছিল। এর মধ্যে আজ ঈদের নামাজের পর বসে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে মাংস কিনতে গিয়ে দুপক্ষের কর্মী রশিদ ও জামালের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এরপর ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে আসার পথে ৮ টার দিকে আবু বকর সিদ্দিক ও কামালের পরিবারের লোকজনকে বিত্তিপাড়া ব্রিজ মোড় নামক স্থান হতে রাজা ও সাবেক ইউপি সদস্য হোসেনের দল বল দেশীয় অস্ত্র ও ইট দিয়ে এলবাতারি হামলা করেন। হামলায় বাক্কার গ্রুপের জোহাদ মণ্ডল (৫০), আব্দুল্লাহ (৪৫), শাহীন (৪৭) ও বাবু (৫২), সোহান (২৪) এবং হোসেন মেম্বার গ্রুপের রাজা (৪৮) ও মিন্টু (৪০) আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে জোহাদ মণ্ডলের অবস্থা গুরুতর। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। আহত সবাই কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি হলেও জোহাদ মন্ডলকে ঢাকা রেফার্ড করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ জানান, ঘটনাস্থলের কয়েকটি ভিডিও দেখে মনে হয়েছে, এই সংঘর্ষ পূর্বপরিকল্পিত। আহত দুজনের গুরুতর জখম রয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন রহমান জানান, নামাজের আগেই দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে। এতে সাতজন আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
Leave a Reply