1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
কালিয়াকৈরে কমিটির দ্বন্দ্বে মাদ্রাসায় তালা  - দৈনিক আমার সময়

কালিয়াকৈরে কমিটির দ্বন্দ্বে মাদ্রাসায় তালা 

মোঃ মজনু আহমেদ জীবন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)
    প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪
প্রতিনিধি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কমিটি নিয়ে একটি মাদ্রাসার তিনটি কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে গেলেও আজ মঙ্গলবার সকালে মাদ্রাসার বারান্দায় পাঠদান চলছে। এ নিয়ে টান টান উত্তেজনায় তিন গ্রামের মানুষের মাঝে।

এলাকাবাসী ও তিন গ্রামের বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার মাথালিয়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মাওলানা জহিরুল ইসলাম পাশের কান্দাপাড়া চন্ডিতলা গ্রামে একটি মাদ্রাসা করেন। কামারিয়া, কান্দাপাড়া ও চন্ডিতলা গ্রামের মানুষের সমন্বয়ে কান্দাপাড়া চন্ডিতলা, কামারিয়া নূরাণী হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা নামকরণ করা হয়। প্রায় ৭বছর ওই মাদ্রাসা ঠিকঠাক চলে আসলেও সম্প্রতি ম্যানেজিং কমিটিসহ চলছে নানা দ্বন্দ্ব। এর জেরে গত সোমবার সকালে ওই মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় মোঃ কদ্দুস, হাবিবুর রহমান, আলহাজ, নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি। ওইদিন বিকেলে ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনকে আসামী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিয়াকৈর থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। আর এসব নিয়ে আতঙ্কে কমে গেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। এদিকে আতঙ্ক নিয়ে গত দু’দিন ধরে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে মাদ্রাসার বারান্দায়। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত তালা খুলে না দেওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষা কার্যক্রম।

ওই মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগে উলেখিত ব্যক্তিরা আমাদের কাছে দু’ই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেছিল। ওই চাঁদার টাকা না পেয়ে তারা মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। একই দাবী জানিয়েছেন ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জালাল উদ্দিন। নিজেকে ওই মাদ্রাসার সভাপতি দাবী করে হাবিবুর রহমান জানান, স্থানীয় কয়েকজন মিলে ৩শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে ওয়াকফা করে দিয়েছেন। কিন্তু ওই মাদ্রাসার টাকায় সাড়ে ৫শতাংশ জমি কিনেন পিন্সিপাল মাওলানা জহিরুল ইসলাম। তা নিজের নামে নিয়েছেন। কমিটি কোনো বিষয় নয়, মুলত ওই সম্পত্তি মাদ্রাসার নামে ওয়াফকা না করায় বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত চাঁদা দাবী কারীদের মধ্যে মুঠোফোনে মোঃ কদ্দুস জানান, আমরা কোনো চাঁদা দাবী করি নাই। তবে আমরা নয়, জমি ওয়াফকা নিয়ে গন্ডগোলের কারণে গ্রামপুলিশের মাধ্যমে ওই মাদ্রাসায় তালা দিয়েছে স্থানীয়রা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহম্মেদ জানান, মাদ্রাসায় তালা দেওয়ার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখে আমাকে জানালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com