1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
কলারোয়ায় আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা - দৈনিক আমার সময়

কলারোয়ায় আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

সিরাজুল ইসলাম শ্যামনগর সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
    প্রকাশিত : সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সাতক্ষীরার কলারোয়া বিভিন্ন ইউনিয়নেরমাঠে আগাম ইরি-বোরো ধান চাষ হওয়ায় ও পাশাপাশি আবহাওয়ায় অনুকূল থাকায় ধানের বাম্পার ফলনে সম্ভবনা দেখছে এলাকার কৃষকরা। উপজেলাজুড়ে ইরি ধানের চারা পরিচর্যা করার জন্যে কৃষক ব্যস্ত পার করছে। মাঠজুড়ে ঘন সবুজ ঘেরা ধানের সমারোহ। এলাকাবাসী আশা করছেন- এ বছর ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা, কৃষকের মুখে ফুটেবে হাসি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ১টি পৌরসভায় ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। এই মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরোর চাষ হয়েছে। এ বছর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে ১২টি জাতের ধানের চাষাবাদ হয়েছে।

উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের কৃষকরা আশা করছেন আগামি ঈদের ঈদুল ফেতরে আগে অথবা পরে তাদের কাঙ্ক্ষিত সোনালী ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।

কৃষি অফিস তথ্যমতে, এই আগাম ধান ঘরে তুলতে উপজেলা কৃষি অফিস নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কৃষকদের নিয়ে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন ধানের রোগ ও পোকামাকড় দমনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

দেয়াড়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামের ধানচাষি মহিলা মেম্বার আকলিমা খাতুন জানান, এবার ৬ বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষ করেছি। গত বোরো মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ছিলাম। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানও খুব ভালই ফলন হবে। প্রতিটি ক্ষেতে ধানের শিশে থোড় সোনার মত জ্বলছে। বাজারে ভাল দাম পেলে লাভবান হতে পারবো।

দেয়াড়া মাঠপাড়া পাড়ার ধান চাষি শামছুর জানান, এবার ১২ বিঘা জমিতে ধানের চাষ করেছি। এর মধ্যে ব্রি-২৮ জাতের ধান আছে ৫ বিঘা। বাকি ৭ ব্রি-২৯ জাতের ব্রি-৬৩। ভাল ফলনে এবার স্বপ্ন দেখছি ভাল দামের। আর কিছু দিন পরেই সোনালী ধানের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠবে কৃষকের বাড়ির উঠান।

একই এলাকার বর্গাচাষি গনি মিয়া জানান, প্র্রতিবেশীর নিকট দেড় বিঘা জমি বর্গা নিয়ে হাইব্রিড ধানের চাষ করছি। এই দোলায় (মাঠে) আমার মতো ধান কারো ফলেনি। বিঘায় ২৫ মন ধানের আশা করছি। প্রতিদিন আসি আর ধান কাটার স্বপ্ন দেখি।আশা করি আগাম ধান উঠলে ধানের বাজার ভাল পাব। বাকি দিনগুলি মোটামুটি ভালই চলে যাবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম এনামুল হক জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পোকা মাকড়ের উপদ্রব ছাড়াই কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবে বলে আশা করছি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকের মাঝে গিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার ধানের বাম্পার ফলনও হয়েছে। আশা করি, এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হবে। বাজারে ধানের দাম ভাল পেলে কৃষকের শতভাগ স্বপ্ন পূরণ হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com