দেশের বিভিন্ন জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে ভাঙচুর, মন্দিরের জায়গা দখল, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সোমবার বিকেলে শহরের গোলদিঘীর পাড়ে কক্সবাজার সনাতনী ছাত্র জনতার ঐক্য ব্যানারে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা চেয়ে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গোলদিঘির পাড় প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন।
এই কর্মসূচি থেকে সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন করাসহ আট দফা দাবি জানানো হয়। অন্য দাবিগুলো হলো—সংখ্যালঘু সুরক্ষা কমিশন গঠন, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সব প্রকার হামলা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা,হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে, দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি আইন প্রত্যার্পণ আইনের বাস্তবায়ন, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ করা; সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিনের ছুটি।।
সনাতনী ছাত্র জনতার ঐক্যের সমন্বয়করা বলেন,সকল ধর্মের মানুষদের সঙ্গে মিলে মিশে তারা এ দেশে বসবাস করতে চান। সাম্প্রদায়িক সহিংসতা তারা চান না। যারা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
বক্তাদের অভিযোগ, অতীতেও এমন সম্প্রদায়িক সহিংসতার নজির আছে। সংখ্যালঘুদের বিভিন্নভাবে দমন করার চেষ্টা করে একটি পক্ষ। কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের মানুষের জন্য বাংলাদেশ নয়। সব ধর্মের মানুষের দেশ বাংলাদেশ। এখানে সাম্প্রদায়িক কোনো সহিংসতা না থাকলেই তা হবে সকলের জন্য মঙ্গল।
গোলদিঘি পাড়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সমাবেশ শেষ করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে গোলদিঘির পাড়ে এসে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ শেষ হয়।
Leave a Reply