1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
কক্সবাজারে রমজানের শুরুতে গ্যাস সহ নানান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন - দৈনিক আমার সময়

কক্সবাজারে রমজানের শুরুতে গ্যাস সহ নানান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন

দিদারুল আলম সিকদার, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি 
    প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪
*দেশী মুরগি প্রতিকেজি ৬৮০ টাকা
পবিত্র মাহে রমজান শুরুতেই দ্রব্যমূল্যের
 উর্ধ্বগতিতে হতাশ ক্রেতারা। সব ধরণের পণ্যের দামই বেড়েছে। এতে হতাশ ক্রেতারা। বেড়েছে গ্যাস মাছ, মুরগি, মাংসও পেঁয়াজের দাম। গতকাল সোমবার শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। তবে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে রমজানের শুরুতেই বাজার তদারকি জোরদার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণহীন পণ্যের বাজারে হতাশ ক্রেতারা। পবিত্র রমজানের আগের দিন বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছেন অনেকেই।
গতকাল সকালে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গরুর মাংস হাঁড়সহ বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা। হাঁড় ছাড়া ১০০০ টাকা। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০০ টাকা বেশী প্রতি কেজিতে। মহিষের মাংসও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগির দাম দুই দিনের ব্যবধানে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৬৮০ টাকা। সোনালী মুরগি প্রতিকেজি ৩৬০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ২৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাহার ছড়া বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় প্রতিকেজি ১১০ টাকা ও ভারতের ১৩৫ টাকা। একই সাথে বেড়েছে আদা ও রসূনের দাম। এছাড়া পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দাম। চিংড়ি লইল্যা প্রতিকেজি ৯০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৮০ টাকা দরে। অন্যান্য মাছের দামও বেড়েছে।
কক্সবাজার শহরের বড় বাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়, লেবু এক জোড়া ৪০ টাকা। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মূলা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। যা বিগত সপ্তাহে ৫-১০ টাকা করে প্রতিকেজিতে কম ছিল।
এদিকে অনেকেই প্রথম রমজান উপলক্ষে বাজার করতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা  মো, রফিক জানান, সকালে বাজারে গিয়ে অবাক হয়েছি। যে পরিকল্পনা নিয়ে বাজারে গিয়েছিলাম তা আর হয়নি। দেশী মুরগি ক্রয় করা সম্ভব হয়নি। গরুর মাংসও নেওয়া হয়নি। আগামীতে বাজারের অবস্থা দেখে ক্রয় করব।
বড় বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আবদু সালাম জানিয়েছেন, মূলত দ্রব্যমূল্য নিয়ে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মাঝে এক ধরণের আতংক কাজ করছে। মোকামে পণ্যের দাম বাড়লে বাজারে বাড়বে এটি স্বাভাবিক। এতে ব্যবসায়িদের হাত নেই। আমদানি না হওয়ায় খামারিরা মাংসের এই খাতটি জিম্মি করে রেখেছে। যার ফলে মাংশের দাম বেড়েছে। আশাকরি ২/১ দিনের মধ্যে কমে আসবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, রমজানে পণ্যের নির্ধারিত মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক টিম বাজার মনিটরিং এর কাজ করবে। যা প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমান আদালতের কার্যক্রম ও পরিচালিত হবে। যারা সরকারি নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি করবে না এসব ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com