দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান এক দিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার সফর করছেন। তিনি দুপুর এসেই কক্সবাজার পৌর এলাকার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান। পৌর এলাকায় অধিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে সেখানে তিনি টিন ও ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, স্থানীয় কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও শাহেনা আক্তার পাখিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। উনার অন্য সফর সূচিতে ছিল কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ, বিকেলে মহেশখালী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং সেখান থেকে ফিরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ।
এদিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা হতে ১১৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনে’ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের মাঝে মানবিক সহায়তা হিসেবে বিতরণের জন্য এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম।
তিনি আরো জানান, বুধবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে জেলার নয়টি উপজেলা ও তিনটি পৌরসভার জন্য এ বরাদ্দ মঞ্জুর করা হয়।
ত্রাণ কর্মকর্তা আরো জানান, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, পেকুয়া ও কক্সবাজার পৌরসভার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত আশ্রয়হীন পরিবারের বসত ঘর পুনঃনির্মাণের জন্য পাঁচশত বান্ডিল ঢেউটিন এবং ১৫ লক্ষ টাকা গৃহ নির্মাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে জেলা প্রশাসন।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়ে কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও চকরিয়া তে নিহত তিনজনের পরিবার প্রতি ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সদর, পেকুয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও কক্সবাজার পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৪ লক্ষ টাকা নগদ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে তার স্বাক্ষরিত পত্র সূত্রে জানা গেছে।
Leave a Reply