ভারী বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে শহরের প্রধান সড়কের বাজারঘাটা, এবিসি রোড, বার্মিজ মার্কেট এলাকা, বৌদ্ধমন্দির সড়ক, গোলদিঘিরপাড়, রুমালিয়ারছড়াসহ অধিকাংশ এলাকায় শত শত দোকান, স্কুল-কলেজ, অফিস–আদালত ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে করে আটকা পড়েছে হাজারো পর্যটক। গতকাল বিকেলে শহরের প্রায় সব এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা মেলে।
এছাড়া উপজেলাগুলোতেও ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। রামু, ঈদগাঁও, উখিয়া, টেকনাফ, চকরিয়া, মহেশখালী, কুতুবদিয়া ও পেকুয়াতে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বিভিন্ন ছোট বড় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ ও ক্ষতির মুখে পড়েছে বীজতলা, পানের বরজ এবং সবজি ক্ষেত।
পাহাড় ধস ও পানির স্রোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়েছে। তাৎক্ষণিক ভাবে সহায়তার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আটশো মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এ বি হান্নান বলেন, গেল বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৩৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজও ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
এদিকে, শহরের কলাতলী সৈকতপাড়ায় পাহাড় ধসে মাটি চাপা পড়ে আরও দুই জনের মৃ*ত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আটটায় সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহরীপাড়ায় এবং শহরের কলাতলী সৈকতপাড়ায় পৃথক পাহাড়ধস হয়।
দক্ষিণ মোহরীপাড়ায় পাহাড়ধসে নি*হত হন গৃহবধূ লায়লা বেগম। এ সময় আহত হন তার ছেলে মো. হানিফ। রাত সাড়ে ৭টায় শহরের কলাতলী সৈকতপাড়ায় পাহাড়ধসে এক পরিবারের ছয়জন মাটিচাপা পড়েন।
স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মাটি সরিয়ে পাঁচজনকে জীবিত উদ্ধার করলেও মিম নামের আট বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে আজ সকালে কক্সবাজার শহরে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় পাঁচ বছরের এক শিশু ও একজন গৃহবধূ মারা গেছেন।
Leave a Reply