কক্সবাজারে মৌসুমি বায়ুর ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার পানি কিছুটা কমে এসেছে। আজ সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি থাকলেও ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। এতে পরিস্থিতির উন্নতির পাশাপাশি জনদূর্ভোগ কমে এসেছে। ২০১৫ সালের পর ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে গত তিন দিনে কক্সবাজারে ৬৬৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এ যাবতকালের সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। গত দুই দিনের ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির পানিতে তলিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ শহরের কয়েকটি সড়ক ও ৫০টির বেশি উপসড়ক। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা। কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলীর সব সড়ক, সৈকত সংলগ্ন এলাকা ও মার্কেট পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে,জেলায় গতকাল পাহাড় ধসে দুই পরিবারের ছয়জন,ট্রলারডুবিতে তিনজন ও পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে চকরিয়া,উখিয়া ও টেকনাফে জলাবদ্ধতায় পানিবন্দী পরিবারগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। তার পাশাপাশি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে পানি বন্দী মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণ ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ করতে মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply