চট্টগ্রাম ওয়াসার অনিয়ম তদন্তে এসেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান সহ একটি টিম।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনাতেই তদন্তের নামে চট্টগ্রাম ঘুরে গেছেন টিমটি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই ওয়াসা এমডির ব্যবস্থাপনায় তদন্ত টিম লোক দেখানো সফর করেছে।
মন্ত্রণালয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে এমন কাজে বিষ্ময় প্রকাশ করছে ক্যাব।
ক্যাব সহসভাপতি এসএম নাজের হোসাইন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত আছে আওয়ামী সরকার আমলে নিয়োগ পাওয়া সকল চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হবে। চট্টগ্রাম ওয়াসা এমডি বিগত সরকার আমলে ৮ দফায় ১৬বছর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নিয়োজিত।
১৬বছর সৈরশাসকের পক্ষ অবলম্বন করে অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে ওয়াসাকে। এই সময়ের মধ্যে ১৪ বারের বেশি পানির দাম বাড়িয়ে চট্টগ্রামবাসীর উপর বোঝা চাপিয়েছে। এখনো শহরের এক তৃতীয়ংশ মানুষ পানি বঞ্চিত রয়েছে। ওয়াসার বাস্তবায়ন করা ও চলমান প্রতিটি প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। এমনকি নিজের মেয়ের প্রতিষ্ঠানকে সুয়্যারেজ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এমডি ফজলুল্লাহকে চেয়ারে বসিয়ে রেখে তার দুর্নীতির তদন্ত হয় না। তার অধীনে থেকে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য দিবে না। অনিয়মের সুষ্ঠ তদন্তের জন্য আগে তাকে পদ থেকে সরাতে হবে। পদ ছাড়লে তখনই সুষ্ট তদন্ত সম্ভব। তখনই সকল অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ক্যাব সব সময় ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে সচেতন। যেখানে ভোক্তার অধিকার ক্ষুন্ন হয় সেখানে প্রতিবাদ করে আসছে। এরই ধারাবাহিতায় চট্টগ্রাম ওয়াসায় ভোক্তাদের অধিকার ক্ষুন্ন হওয়া নানা বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে। ক্যাব মনে করে, চট্টগ্রাম ওয়াসাতে সংস্কার প্রয়োজন। এমডি অপসারণের মাধ্যমে সংগঠিত অনিয়ম-দুর্নীতি যেমন বেরিয়ে আসবে, তেমনি চট্টগ্রাম ওয়াসা গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রুপ পাবে।
Leave a Reply