1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
একজন সফল ও জনবান্ধব ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস - দৈনিক আমার সময়

একজন সফল ও জনবান্ধব ইউএনও লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস

রতন আলী, নিজস্ব প্রতিবেদক
    প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫

প্রতিভা কোনো সীমাবদ্ধ সিদ্ধিতে সন্তুষ্ট থাকে না, অসন্তোষই তার জয়যাত্রা পথের সারথি’ বলেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সরকারি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে জনগণের রয়েছে অনেক অভিযোগ। এর মধ্যে ব্যতিক্রম জনবান্ধব, পরিশ্রমী নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস।

তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান।

বাড়াইগ্রাম উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তার সততা ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে গেছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও সার্বিক চিত্র। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরের কর্মকাণ্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা। কমেছে জনভোগান্তি আর বৃদ্ধি পেয়েছে জনসেবার মান। বড়াইগ্রাম  উপজেলাকে একটি উন্নত আধুনিক জনপদ হিসেবে গড়ে তুলতে নিরালসভাবে কাজ করছেন তিনি। জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  কর্মকাণ্ডে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন উপজেলার সৎ জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

উপজেলার যেকোনো অবৈধ ও অন্যায় কাজের বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার। তিনি কোনো অভিযোগ পেলে তার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেন। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোনের মাধ্যমে পাওয়া বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।

তাছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবা, সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ঘর নির্মাণ এবং বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরেজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি সর্বদা ছুটে বেড়ান উপজেলার ৭ টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায়। ক্লান্তিবোধ হয়তো তাড়া করেনা তাকে। ইভটিজার,পারিবারিক জটিলতায় কিংবা বাল্য বিবাহে ছাড় নেই তার। উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যবর্ধন, আগত সেবা প্রত্যাশীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতকরণ, উপজেলা পরিষদের সার্বিক কার্যক্রম দক্ষতার সঙ্গে তদারকি, উপজেলায় চারপাশে চলার পথ ও দৃষ্টিনন্দন বিভিন্ন কাজও করেছেন তিনি। শিক্ষাবান্ধব ব্যক্তিত্ব হিসেবে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন করেন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের গুণগত এবং লেখাপড়ার জন্য মানসম্মত বিদ্যাপীঠ গড়ে তোলার নানা কার্যক্রম করেছেন ইতোমধ্যে। কখনো কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয়ে ইউএনওর ঝটিকা অভিযানের ফলে নিয়ম মাফিক চলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাকার্যক্রম। বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন করেছেন জমকালো ভাবে। যা ইতিপূর্বে বড়াইগ্রাম উপজেলাবাসী খুব কমই দেখেছেন। তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের ‘আইডল’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন ইতোমধ্যেই।

 

সম্প্রতি ছাত্রদের নিয়ে বড়াইগ্রাম ও বনপাড়া  পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ও বাজারের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে পৌরবাসীকে দীর্ঘদিনের ট্রাফিক জ্যাম থেকে মুক্তি দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছাত্রদের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে অনুপ্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এই ইউএনও। সব মহলের চাপকে উপেক্ষা করে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ‘ সংরক্ষণে অবৈধ দখলীকৃত মাঠের জমি উদ্ধার করে ও বিভিন্ন এলাকায়  মাদকাসক্তদের আড্ডা বন্ধ হয়ে গেছে তারই দূরদর্শিতায়।

 

মাদকমুক্ত উপজেলা গড়তে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও করেন তিনি। বড়াইগ্রাম পৌরসভায় রাজনৈতিক  যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চলমান অনিয়ম বন্ধ করে দেন তিনি,লাইসেন্স প্রদানে দীর্ঘদিন ধরে চলমান সিন্ডিকেটের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে হয়রানিমুক্তভাবে শুধুমাত্র সরকারি ফি’তে লাইসেন্স প্রদান নিশ্চিত করেন।

লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস ২১-০৩-২০২৪ ইং তারিখে তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রশাসনকে নিজের মতো করে ঢেলে সাজান।শক্তহাতে টেনে ধরেন অবৈধভাবে হাট দখল, ভূমিদস্যু, খাস জমি,  দখলদারদের লাগাম। তাঁর সততা ও কর্মদক্ষতায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা ফিরে পেতে শুরু করেছে। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন ও জনকল্যাণমুলক কাজ করে দক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে উপজেলার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন তিনি। এক বছরে উপজেলার প্রভাবশালী মহলের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাদকদদ্রুব্য, ভোক্তা অধিকার, মটরযান, ও অবৈধভাবে কৃষি জমিতে পকুর খনন বন্ধ করে ভেকু মেসিন জব্দ করা সহ ২০০ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৪১ জন কে অর্থ দ্বন্দ্বের আদেশ প্রদান করেন এবং ৪৭ জন কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং জরিমানা আদায় করা হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা, বিভিন্ন বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় সরকারকে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে অবৈধ হাট গুলো বন্ধ করে দিয়ে তিনি নজির স্থাপন করেছেন জনবান্ধব এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এ ছাড়া অবৈধ দখলমুক্ত করা হয় উপজেলার বহু সরকারি রাস্তা, খাল, জলাশয়, নদী ও হাট-বাজার।সর্ব ক্ষেত্রেই রয়েছে এই নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পদচারণা। দাপ্তরিক কাজের বাইরে সকাল-বিকাল ছুটে বেড়ান মাঠ-ঘাট। কথা বলেন উপজেলার সাধারণ মানুষের সাথে। শোনেন তাদের ‍দুঃখ-কষ্টের কথা। খোঁজখবর নেন সমাজের অবহেলিত গরিব-দুঃখী মানুষের । পরিদর্শন করেন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উপজেলার উন্নয়ন প্রকল্প। কোথাও কোনো সমস্যা দেখলে নেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। তা ছাড়া গণমাধ্যম, ফেসবুক, মুঠোফোন বিভিন্ন অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি, প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও প্রতি বুধবার করে সাধারণ মানুষের জন্য নিজ কার্যালযে উন্মুক্ত আলোচনা করছেন এই উপজেলা নির্বাহী অফিসার। যার নাম দিয়েছেন গণশুনানি।প্রতি বুধবার আসলেই উপজেলা চত্বর যেন অসহায় নির্যাতিত মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় সকাল ৯ টা হতে বিকাল ০৫ টা পর্যন্ত গণশুনানী করে উপজেলার সাধারণ মানুষের বিভিন্ন সমস্যার কথা  শোনে সমস্যার সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। বড়াইগ্রাম উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায়। ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস। তবে তাকে বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় বিগত ৫ আগষ্টে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারা দেশের আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ে, পুলিশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই পুলিশ নিজেদের নিরাপত্তায় হীনতায় ভুগছিলেন তারা নিজের জীবনকে রক্ষা করার জন্য  ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই, তখন সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ শান্ত রাখতে উপজেলা বাসীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ছুটে চলেছেন অবিরাম ভাবে,  দেশব্যাপী যখন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে  বিভিন্ন অনিয়ম অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিবাদ শুরু করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছাত্ররা, সেই আন্দোলনের ঢেউ লাগে বড়াইগ্রাম উপজেলাতেও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাতে পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে সড়ক মহাসড়ক অবরোধ করে ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। সেই ক্রান্তিকাল মুহূর্তে কমপক্ষে ৬৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের লিখিত এবং মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের অভিযোগ গুলো মনোযোগ সহকারে শুনতেন এবং সমস্যার সমাধানের জন্য চেষ্টা করতেন তিনি ,গত (২৮ ডিসেম্বর) উপজেলার নগর ইউনিয়নের মুল্লিকপুর এলাকায় অবৈধভাবে নদীর মাটি বিক্রি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে ২০১০ এর ৪ ও ৫ ধারার লঙ্ঘন এবং ১৫ ধারায় শাস্তি ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, ভেকুর ব্যাটারী জব্দ করা হয়।

সাধারণ মানুষ যে কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে গেলেই তিনি সকলের কথা শুনে হাসিমুখে সমাধান দেয়ার চেষ্টা করেন। এতেই সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন ইউএনও। দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে সম্মান ও বিশ্বাস অর্জন করেছেন অল্প সময়েই। প্রশাসনিক নানা উদ্যোগের পাশাপাশি অনেক সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজের অর্থে পাশে থেকেছেন অনেকের। অনেক শিক্ষার্থীকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করে লেখাপড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন তিনি। এসব কল্যানকর কাজের জন্য সংবাদ পত্রের শিরোনামও হয়েছেন বহুবার।

ইউএনও’র এসব সাফল্যের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে  প্রবীণ সাংবাদিক আলহাজ্ব সাইফুর রহমান  বলেন,‘সরকারের একজন উচ্চপদস্থ দায়িত্বশীল প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং মানবসেবক হিসেবে ইউএনও স্যার অসাধারণ একজন মানুষ। সরকারের অর্পিত প্রতিটি দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সাথে তিনি সঠিক ভাবে পালন করেছেন। তার ভালোবাসা এবং সততায় বড়াইগ্রামের আপামর জনসাধারণ মুগ্ধ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের সেবক। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সব সময় চেষ্টা করি মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের।’

তিনি আরও জানান, যতদিন বড়াইগ্রাম উপজেলায় আছি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাব। সর্বোপরি দায়িত্ব পালনে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com