এইচপিভি টিকার কথা প্রচার করে জরায়ুমুখ ক্যান্সারমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়েছে ময়মনসিংহের স্কাউট ও গার্লস গাইড সদস্যরা।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত জেলা পর্যায়ে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম ২০২৪ সম্পর্কে অবহিতকরণ সভা শেষে তারা এ প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বাংলাদেশ স্কাউটসের যুব স্বেচ্ছাসেবী মুক্ত স্কাউট, গার্লস গাইড, রোভার স্কাউট ও লাল-সবুজের চল্লিশ জন সদস্য স্কাউট লিডার লিয়া আফরোজের নেতৃত্বে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফ প্রকল্পভুক্ত এ ওরিয়েন্টেশনে অংশ নেয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. নুসরাত এ মোহসিন সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস-এইচপিভি কিভাবে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের সংক্রমণ ঘটায় এবং তা থেকে বাঁচাতে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং স্কুলের বাইরের দশ থেকে চৌদ্দ বছরের সকল কিশোরীকে ২৪ অক্টোবর থেকে মাসব্যাপী এইচপিভি টিকা দিতে সরকারের উদ্যোগের কথা তিনি সহজ ভাষায় তুলে ধরেন।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. অভিজিৎ লোহ প্রধান অতিথি হিসেবে এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের হেলথ অফিসার ডা. আলমগীর হোসেন এবং সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন পরামর্শক আমান উল্লাহ বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় টিকার প্রচারে অংশ নেওয়াকে স্কাউটদের দায়িত্ব হিসেবে আখ্যা দেন।
জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মীর আকরাম উদ্দীন আহম্মদ সমাপনী বক্তব্যে আগামী নারী সমাজকে জরায়ুমুখ ক্যান্সারমুক্ত করতে কিশোরীদের এইচপিভি টিকা নিতে উৎসাহ দানকে মানবতার সেবা বলে বর্ণনা করেন।
এ সময় ঢাকা ব্যতীত দেশের সাত বিভাগে এইচপিভি টিকা ক্যাম্পেইনে টিকা নিতে ভিএএক্সইপিআই অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিবন্ধন ও টিকাকার্ড প্রিন্ট করে টিকা কেন্দ্রে যাওয়ার সম্পূর্ণ পদ্ধতির ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করেন সহকারী তথ্য অফিসার সাইফুল আলম ও রুকুনুজ্জামান।
Leave a Reply